দলবদল কার্যক্রম শেষ হওয়ায় ২০২১ সালের পর ফের লিগ টার্ফে গড়ানোর সম্ভাবনা জোরাল হয়েছে।
Published : 05 Feb 2024, 07:51 PM
মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে শিরোনামে আসে হকি। প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ আয়োজনে গড়িমসি, খেলায় রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে হাতাহাতি-মারামারি, এসবের আড়ালে পড়ে থাকে জনপ্রিয় খেলাটি। এবারও যেমন, পারিশ্রমিকের অঙ্ক নিয়ে অসন্তোষ আছে খেলোয়াড়দের। তবে দলবদল হওয়ায় স্থবিরতা কেটেছে হকির, জোরাল হয়েছে ২০২১ সালের পর লিগ আয়োজনের সম্ভাবনা।
এই সম্ভাবনাটুকু বিতর্কের ডামাডোলে ফের হারিয়ে দিতে চান না রাসেল মাহমুদ জিমি। দেশের হকির এই তারকা সোমবার দলবদলের শেষ দিকে মোহামেডানের প্রতিনিধি হয়ে গণমাধ্যমের কাছে আর্তি জানালেন, এবার যেন সবকিছু হয় ঠিকঠাক। যেন বদনাম না হয় হকির।
২০১৮ সালের লিগে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান। ‘শেষ পর্যন্ত’ বলার কারণ, সেবার মোহামেডান ও মেরিনার্সের মধ্যেকার ম্যাচে দফায় দফায় রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই পক্ষের আপত্তি, হাতাহাতিতে ম্যাচের ভাগ্য ঝুলে গিয়েছিল ১-১ সমতায় থাকা অবস্থায়। চ্যাম্পিয়নের সুরাহা হকি ফেডারেশন করেছিল বেশ পরে, মোহামেডানকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে।
২০২১ সালে সবশেষ লিগে সেরা হয়েছিল মেরিনার্স। এরপর থেকে ঘরোয়া হকির শীর্ষ প্রতিযোগিতাটি চলে গিয়েছিল হিমঘরে। এবার সেখান থেকে বেরিয়ে আলোর মুখ দেখার পথ তৈরি হয়েছে।
দেশের হকির ‘বড়’ দল ঊষা ক্রীড়া চক্র ২০১৮ সালে প্রথম বিভাগে নেমে যাওয়ার পর এবার লিগে ফিরেছে। জিমির মনে হচ্ছে, ঊষা ফেরায় এবারের লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। তবে জাতীয় দলের এই সাবেক তারকায় অতীত শঙ্কার কথাও মনে রেখেছেন।
“এবার যেহেতু ঊষাও ফিরেছে, অন্য ভালো দলও আছে। ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আশা করি, অন্য কোনো ঝামেলা যেন না হয়, ফেডারেশন এই বিষয়গুলো ভালোভাবে দেখবে। যেটা নিয়ে (রেফারির সিদ্ধান্ত) বরাবর সমস্যা হয়…এবার ভিডিও রেফারেল থাকবে, প্রতিবারের মতো এবারের লিগে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে, বদনাম না হয়, হকিটা যেন ভালোভাবে চলে।”
সারোয়ার হোসেন, আশরাফুল আলমের মতো খেলোয়াড় থাকায় মোহামেডান দল নিয়েও খুশি জিমি। তবে নামের জোরে যে মাঠের লড়াইয়ে বাজিমাত করা যাবে না, তাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
“(মোহামেডান) টিম ভালো হয়েছে। তারুণ্যনির্ভর দল হয়েছে, সাথে অভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড়ও আছে। এখন দলের সাফল্য নির্ভর করছে পারফরম্যান্সের উপর। আমি জিমি কতটুকু পারফরম করতে পারি, আমার টিমকে কতটুকু সাহায্য করতে পারি, সেটা মাঠে প্রমাণ করতে হবে।”
“শুধু নামের উপর ভিত্তি করে, আমি বা সারোয়ার যারা আছে, তাদের নামটা নয়, নামের প্রতি সামঞ্জস্য রেখে খেলতে হবে। মোহামেডানে দীর্ঘসময় খেলছি, প্রায় ১৪ বছর হয়ে গেছে, মোহামেডানের সাথে সম্পর্কটা পারিবারিক সম্পর্কের মতো হয়ে গেছে। সবসময় মোহামেডান ভালো পারফরম করতে চায়। শিরোপা জেতা বা রানার্সআপ হতে পারফরম্যান্সের সাথে ভাগ্যের ছোঁয়াও লাগে।”