‘পিএসজি সমর্থকদের দুয়ো শোনার পেছনে দায় আছে মেসিরও’

ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ রেমন্ড ডমিনেখের কাছে বিষয় কিছুটা এরকমই মনে হচ্ছে!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2023, 09:48 AM
Updated : 16 May 2023, 09:48 AM

লিওনেল মেসি ইদানিং মাঠে নামলেই পিএসজি সমর্থকরা দিচ্ছেন দুয়ো। আর্জেন্টাইন তারকাকে যেন সহ্যই করতে পারছে না তারা। কিন্তু কেন? ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ রেমন্ড ডমিনেখ বেশ কিছু প্রসঙ্গ টেনে কথা বললেন এ ইস্যুতে। এই দুয়োর পেছনে তিনি কিছুটা দায় দেখছেন মেসিরও! 

বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পাট চুকিয়ে ২০২১ সালে পিএসজিতে নোঙর ফেলেন মেসি। শুরুতে তাকে নিয়ে দলটির সমর্থকদের যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বয়েছিল, ইদানিং তাতে মহা ভাটার টান। সবশেষ আজাকসিওর বিপক্ষে ম্যাচেও মেসিকে দুয়ো দিয়েছে ‘পিএসজি আল্ট্রাস’ গ্রুপটি। 

ক্লাবের অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরব সফরে গিয়ে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মেসি। অনেক টানাপোড়েনের পর সে নিষেধাজ্ঞা আগেভাগে উঠে যাওয়ায় তিনি মাঠে নামেন আজাকসিওর বিপক্ষে ম্যাচে। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ঠিকঠাক। তাতে আবারও দুয়ো শোনার তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া এই মহাতারকাকে। 

এই দুয়ো কাণ্ড নিয়ে মেসির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক, বর্তমান খেলোয়াড়, কোচদের অনেকে। সমর্থকদের ধুয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। ক্লাব কর্তৃপক্ষ তো কয়েকদফা সমর্থকদের সাথে বৈঠকও সেরেছে। 

তবে লেকিপের ‘লেকিপ ডু সোর’ প্রোগ্রামে এসে পুরো বিষয়টি ভিন্ন এক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখালেন ডমিনেখ। সেখানে পিএসজির সমর্থকদের সঙ্গে মেসির আত্মীক বন্ধন গড়ে ওঠা বা গড়ে তোলার কোনো চেষ্টা চোখে পড়ছে না তার। সমস্যা এখানে বলেই মনে করেন ৭১ বছর বয়সী কোচ। 

“সে সাফল্য পাচ্ছে না, বা সমর্থকদের সঙ্গে যে সম্পর্ক তৈরি করা দরকার, সেটাও সে করতে চাইছে না। যে কারণে তাদের ফিরতি ভালোবাসাও সে পাচ্ছে না। এটাই সমস্যা। কোনো না কোনোভাবে এই দুয়োর জন্য মেসিও দায়ী।” 

“ম্যাচ শেষ হতেই সে মাঠ ছেড়ে চলে যায়। সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে যায় না। সে দর্শকের সাথে সরাসরি সংযোগটা রাখে না। এভাবেই দুই পক্ষের অম্ল-মধুর সম্পর্কটা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।” 

আসছে জুনেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে মেসির। দলছুট হয়ে তিনি সৌদি আরবে যেতে পারেন, ফিরতে পারেন বার্সেলোনায়-শোনা যাচ্ছে এমন হাজারো গুঞ্জন।