দোরিয়েলতনের গোলে শুভসূচনা কিংসের

প্রথমার্ধের গোলটি শেষ পর্যন্ত আগলে রেখে জয় তুলে নিয়েছে অস্কার ব্রুসনের দল।

লড়াই করে পাওয়া জয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করল বসুন্ধরা কিংস। ছবি: বসুন্ধরা কিংস ফেইসবুক

শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে উঠতে চেষ্টার কমতি রাখল না ফর্টিস এফসি। কিন্তু আলোচিত সেই ‘মদ-কাণ্ডের’ পর বসুন্ধরা কিংসের পোস্টে ফেরা আনিসুর রহমান জিকোকে পরাস্ত করতে পারল না তারা। স্বস্তির জয়ে ফেডারেশন কাপের মুকুট ফিরে পাওয়ার মিশন শুরু করল অস্কার ব্রুসনের দল।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ফর্টিসকে ১-০ গোলে হারায় কিংস। সবশেষ ২০২০-২১ মৌসুমে এই শিরোপা জয়ী কিংসের ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি প্রথমার্ধে করেন দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তো।

গত সেপ্টেম্বরে এএফসি কাপের ম্যাচ শেষ করে দেশে ফেরার পথে বিমানবন্দরে মদ নিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে পাকড়াও হয়েছিলেন জিকো। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফর্টিসের বিপক্ষে প্রথম খেলতে নামেন এই গোলরক্ষক। ম্যাচ জুড়ে ভালো কিছু সেভ করে দলের জয়ের নায়কদের একজন তিনি।

একাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটি কাজে লাগিয়েই দলকে এগিয়ে নেন দোরিয়েলতন। টুটুল হোসেন বাদশার লং পাস আটকাতে বক্সে সক্রিয় ছিল না ডিফেন্ডাররা। সহজে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দেখেশুনে দারুণ শটে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে খুঁজে নেন জাল।

পিছিড়ে পড়ার পর ফর্টিস মাঝেমধ্যে কিংসের রক্ষণে হানা দিতে থাকে। আরমান ফয়সাল আকাশ ও ইউক্রেইনের মিডফিল্ডার ভালেরি রিশি পায়ের কারিকুরিতে একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু পরাস্ত করতে পারেননি জিকোকে।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রবিনিয়োর পাস ধরে রফিকুল আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান বক্সে। দোরিয়েলতন বল পাওয়ার আগেই স্লাইডে ক্লিয়ার করে ফর্টিস।

৬০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সহজ সুযোগ নষ্ট করে কিংস। গোলরক্ষক আজাদ হোসেন ভুল পাসে বল তুলে দেন দোরিয়েলতনের পায়ে। তিনি নিজে শট না নিয়ে ডান দিকে রফিকুলকে বাড়ান; বল তার কাছে পৌঁছানোর আগেই ক্লিয়ার করেন রাশেদ।

শেষ দিকে কিংসের রক্ষণে মরিয়া চাপ দিতে থাকে ফর্টিস। কিন্তু ভালেরির ক্রসে হেড করার কেউ ছিল না গোলমুখে। মোস্তাজিব খানও ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। যোগ করা সময়ে ভালেরির কর্নার ক্লিয়ার হওয়ার পরই শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি।

স্বস্তি জয়ের কিংসের ফেডারেশন কাপে শুভসূচনা নিশ্চিত হয়।

মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি ও বাংলাদেশ পুলিশ এফসির ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়েছে।

দুইবার এগিয়ে গিয়ে ‘এ’ গ্রুপের এই ম্যাচে জয়ের আশা জাগিয়েছিল পুলিশ। সাহেদ মিয়ার গোলে পিছিয়ে পড়া রহমতগঞ্জকে সমতায় ফেরান স্যামুয়েল কোনি। ৬৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে এদিস গার্সিয়া ফের পুলিশকে এগিয়ে নেন। সাত মিনিট পর আর্নেস্ট বোয়াটেং স্পট কিক থেকেই সমতার স্বস্তি এনে দেন রহমতগঞ্জকে।