এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যে অঘটনের হাওয়া লেগেছে তাতে নারী এককে বাছাইয়ের উপরের সারির অনেকেই ছিটকে গেছেন। এর মাঝেই পুরনো রূপে নতুন করে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন কারোলিনা প্লিসকোভা। পাদপ্রদীপের আলোয় নয়, অনেকেটা আড়ালে থেকেই কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন চেক রিপাবলিকের এই তারকা।
চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে সোমবার চীনের ঝাং শুয়াইকে দাঁড়াতেই দেননি প্লিসকোভা। উড়িয়ে দেন ৬-০, ৬-৪ গেমে।
এখনও কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেননি, তবে নামের পাশে অনেক আগেই জুড়ে গেছে তারকাখ্যাতি। আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগে যে উঠেছিলেন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
হাত ভেঙে যাওয়ায় গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারেননি ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে খেলা প্লিসকোভা। সেই চোট সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সাবেক কোচ সাশা বাইনের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন আবার। ২০২১ সালে এই জার্মানের কোচিংয়েই উইম্বলডনের ফাইনালে খেলেছিলেন প্লিসকোভা, ফিরেছিলেন র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বরেও।
কিন্তু পরে হাত ভেঙে যাওয়ায় আবারও ছিটকে পড়েন কক্ষপথ থেকে। এখন আবার নতুন করে সেরার কাতারে ফেরার পালা।
সেই পথে দারুণভাবে এগিয়ে চলেছেন। বিশেষ করে চলতি আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে চলেছেন। এখন পর্যন্ত চার রাউন্ড খেলে একটিও সেট হারেননি প্লিসকোভা। শেষ আটে জায়গা করে নেওয়ার পর ৩০ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের কণ্ঠেও শোনা গেল আত্মবিশ্বাসী সুর।
“অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর থেকে আমি দারুণ বোধ করছি। টাইমিংয়ের বিষয় যেমন, কখনও কখনও এটা কেবল অনুভব করা যায়। আপনিই বুঝতে পারবেন যে ভালো হিট করছেন। গত দুই-তিন সপ্তাহে ঠিক এটাই আমি করতে পারছি”
“পরে আমার মনে হলো, এখানে আমি যে কয়টা ম্যাচ খেলেছি, সবগুলোতে দৃঢ় পারফরম্যান্স করেছি। কোর্টে এমন কোনো জায়গা ছিল না, যেখানে আমার মনোযোগ ছিল না, অথবা খুব বেশি ভুলও করিনি। আমার মনে হয়, এই ম্যাচগুলোয় আমি সার্ভ খুব ভালো করেছি।”
শীর্ষ ১০ বাছাইয়ে মধ্যে কেবল দুইজন জেসিকা পেগুলা ও আরিনা সাবালেঙ্কা কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছেন। আর তাই, সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে র্যাঙ্কিংয়ের ৩১ নম্বর প্লিসকোভা হয়ে উঠেছেন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের একজন।