ভিসা জটিলতা, ফ্লাইট মিস, ভুবনেশ্বরে গিয়ে ট্রেনিং করার সুযোগ না পাওয়া- বসুন্ধরা কিংসের জন্য এই ম্যাচের আগে ঝামেলার অন্ত ছিল না। মাঠের লড়াইয়েও দূর্ভাগ্য পথ আগলে দাঁড়াল তাদের; দুটি প্রচেষ্টা ফিরল পোস্টে লেগে। তবে ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল মোহন বাগানকে ঠিকই রুখে দেওয়ার আনন্দ সঙ্গী হলো অস্কার ব্রুসনের দলের।
ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে মোহন বাগানের বিপক্ষে ২-২ ড্র করেছে কিংস। তিন ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। টানা দুই জয়ের পর ড্র করা মোহন বাগান ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।
এএফসি কাপে মোহন বাগানের বিপক্ষে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ড্র করল কিংস। ২০২১ সালে প্রথম দেখায় ১-১ ড্রয়ের পর গত বছর ভারতের দলটির বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিল ব্রুসনের দল।
ভুবনেশ্বরে রক্ষণ সামলে রেখে খেলা কিংস শুরু থেকে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। মোহন বাগান ছড়ি ঘোরাতে থাকে। ২০তম মিনিটে দিমিত্রিয়োস পেত্রাতোসের ক্রসে লিস্টন কোলাসো টোকায় জাল খুঁজে নিলেও অফসাইডের কারণে হয়নি গোল।
২৮তম মিনিটে কিংসের প্রতিরোধের দেয়ালে ধরে চিড়। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা হুগো বোমোস অনেকটা এগিয়ে বক্সে বল বাড়ান। তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কাট ব্যাক করেন জ্যাসন কামিন্স; নিখুঁত শটে বাকি কাজ সারেন পেত্রাতোস।
কিংস পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি। ৩৩তম মিনিটে রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা হেক্টর ক্যান্টেনের প্রতিরোধ ভেঙে দারুণ শটে সমতা ফেরান দোরিয়েলতন।
দুই মিনিট পরই এগিয়ে যেতে পারত কিংস; কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। বক্সের একটু বাইরে থেকে রবিনিয়ো জায়গা করে নিয়ে জোরাল শট নেন। বল বাঁক খেয়ে লাফিয়ে ওঠা মোহন বাগান গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবার কাঁপায়।
৪৮তম মিনিটে মিগেল ফিগেইরা দামাশেনোর থ্রু পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে পেয়ে যান দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তো। কিন্তু দূর্ভাগ্য তার। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্টে প্রতিহত হয়।
একটু পরই কিংসের রক্ষণের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফের এগিয়ে যায় মোহন বাগান। পাল্টা আক্রমণে উঠতে গিয়ে বক্সের বাইরে বল হারায় কিংস। গ্লেন মার্টিন্সের পাস ধরে হুগো বুমোস বাড়ান আশিষ রায়কে। দারুণ শটে শ্রাবণকে পরাস্ত করেন এই ডিফেন্ডার।
আশিষই ৬৮তম মিনিটে বক্সে রবিনিয়োকে বক্সে ফাউল করে বসেন; পেনাল্টি পায় কিংস। বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও রবিনিয়োর জোরাল শট আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক। সমতার স্বস্তি ফিরে কিংসের তাঁবুতে।
এরপর সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খেলার গতিও কমতে থাকে। দুই দলই খেলতে থাকে সাবধানী ফুটবল। তাতে জয়সূচক গোলের দেখা পায়নি কেউই।