গত আসরে সবকিছু হয়েছিল ঢাকায়, এবার জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় শেষে ঢাকায় হচ্ছে মূল পর্ব।
Published : 22 Feb 2023, 02:24 PM
তৃণমূল পর্যায় থেকে অ্যাথলেটদের পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসার মঞ্চ শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। দেশের নানা প্রান্ত থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের ধাপ পেরিয়ে উঠে আসা চার হাজার অ্যাথলেট এবার নামবেন সেরা হওয়ার লড়াইয়ে।
বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করবেন বলে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জানান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বিওএ। গতবার ২১টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তার সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার।
এবার ডিসিপ্লিন তিনটি বেড়ে হয়েছে মোট ২৪টি। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ মিলিয়ে অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০ হাজার জন। প্রথম আসরে সব খেলাই হয়েছিল ঢাকার ভেন্যুতে। এবার জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় পেরিয়ে তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে উঠে এসেছেন ৪ হাজার জন। ১৯৩টি ইভেন্টের ১৯৩টি করে সোনা ও রুপা এবং ২৮৭টি ব্রোঞ্জের জন্য লড়বেন তারা।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার মশাল প্রজ্জ্বল করবেন বিওএ সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ২৬ ফেব্রুয়ারি আর্মি স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন কদিন আগে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জয়ী ইমরানুর রহমান ও এসএ গেমসের সোনা জয়ী কারাতেকা মারজান আক্তার প্রিয়া।
অ্যাথলেটদের জন্য দিন প্রতি খাবার, আবাসন ও এককালীন যাতায়াত মিলিয়ে এক হাজার ছয়শ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিওএ সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন। এক অ্যাথলেটের জন্য এই অর্থ যথেষ্ট নয় বলে সংবাদ সম্মেলনে মানলেন তিনিও।
“বিওএর নিজস্ব আয় নেই। প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সরকার এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবদিকে কৃচ্ছতা সাধন চলছে, আমাদেরকেও সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। খেলোয়াড়দের জন্য দিন প্রতি যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা হয়ত খুব বেশি নয়, কিন্তু খুব কমও নয়। খেলোয়াড়দের জন্য আমরা কিছু আর্থিক পুরস্কারও রাখছি।”
এবারের যুব গেমসেও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) অ্যাথলেটরা অংশ নিচ্ছেন তাদের জেলার হয়ে। খেলাধুলা নিয়ে যাদের একেবারেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, তাদের পক্ষে বিকেএসপির অ্যাথলেটদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। গেমস আয়োজন কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী জানালেন, বিএকেএসপির বাইরের অ্যাথলেটদের দিকেও দৃষ্টি থাকছে ফেডারেশনগুলোর।
“বিকেএসপির যে ছাত্র যেই জেলার, সেই জেলাকে তো বঞ্চিত করা উচিত নয়। সে যে জেলার হয়ে অংশ নিতে পারবে না-এ ক্রাইটোরিয়া নেই। যে যদি নিজের জেলার হয়ে খেলতে পারে…সে সেই সুযোগ পাচ্ছে। সেই সাথে দেখা হচ্ছে, বিকেএসপির প্রতিযোগী যদি প্রথম বা দ্বিতীয় হয়, সেক্ষেত্রে তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম কারা হচ্ছে, তাদের টাইমিং কতটা ক্লোজড, তাদের মধ্যে ওই সম্ভাবনা আছে কিনা, যারা ট্রেনিং পেলে উঠে এসে অংশ নিতে পারবে, সে কনসার্ন ফেডারেশনগুলো আছে এবং তারা সেটা মনিটর করছে।”
এবারের প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস। তারা আয়োজনের ব্যয়ের ‘সিংহভাগ’ দিচ্ছে বলে জানান মামুন। এছাড়াও আছে সাইফ পাওয়ারটেক ও ওয়ালটন।