কাতার বিশ্বকাপে তারা দারুণ কিছু করতে পারবেন বলে বিশ্বাস স্পেনের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারের।
Published : 03 Oct 2022, 06:00 PM
কিছুদিন আগে স্পেনের তরুণ মিডফিল্ডার পেদ্রি বলেন, কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের ফেভারিট হিসেবেই দেখেন তারা। এবার দলটির অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সের্হিও বুসকেতসের কণ্ঠেও আশার জয়গান। আগের দুই আসরের হতাশা পেছনে ফেলে এবার তারা সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস তার।
২০০৮ থেকে ২০১২, অবিশ্বাস্য একটা সময় কাটিয়েছিল স্পেন। দুটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মাঝে জিতেছিল ২০১০ বিশ্বকাপ। সেই সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে তারা আরও এগিয়ে যাবে বলেই আশা করছিল তাদের সমর্থকরা। কিন্তু তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় স্পেন। চার বছর পর রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় স্বাগতিকদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে যায় তারা। ২০১৬ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও একই রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল দলটি।
কোচ লুইস এনরিকের হাত ধরে অবশ্য গত কয়েক বছরে অনেকটাই বদলে গেছে স্পেন। বার্সেলোনার সাবেক এই কোচের কোচিংয়ে ২০২০ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে খেলা দলটি উয়েফা নেশন্স লিগের গত আসরে হয় রানার্সআপ। কদিন আগে পর্তুগালকে হারিয়ে এবারের নেশন্স লিগেও চার দলের ফাইনালসে উঠে গেছে তারা।
পেদ্রি, গাভি, আনসু ফাতিসহ একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড় আছেন স্পেনের বর্তমান দলে। ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এখন আছেন বুসেকেতস। তার সঙ্গী জর্দি আলবা, আলভারো মোরাতার মতো অভিজ্ঞরা।
সম্প্রতি ফিফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের দল নিয়ে আশার কথা শোনান ৩৪ বছর বয়সী বুককেতস।
“আমি মনে করি, দলটা খুব ভালো। আমরা বেশ তরুণ দল, কিন্তু আমার মতো কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। দুইয়ের মিশেলে দারুণ দল। স্কোয়াডে সবাই তাদের ভূমিকা জানে, দলের প্রত্যেকেই তাদের দায়িত্বটা পালন করতে চায় এবং দলে কিছু যোগ করতে চায়। আর এটাই আমাদের খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তোলে।”
“তরুণ খেলোয়াড়রা খেলতে উদগ্রীব, তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা দারুণ। এসব টুর্নামেন্ট খেলে তারা শিখতে চায়। অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যারা ইতিমধ্যেই এসব টুর্নামেন্টে খেলেছে, তারা তরুণদের পরামর্শ দিতে পারে। তারা সবকিছু করতে চায়, যা কোচ ও পুরো দলের জন্য কাজগুলো সহজ করে তোলে।”
নিজেদের ধরন অনুযায়ী খেলতে পারলে বিশ্বকাপে তারা দারুণ কিছু করে দেখাতে পারবেন বলেই বিশ্বাস বুসকেতসের।
“আমাদের সবসময় বড় প্রত্যাশা থাকে। কারণ, স্প্যানিশ সমর্থকরা সবসময় আমাদের সেরা হওয়ার প্রত্যাশা করে। এমনই হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যখন আমরা দুটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও একটি বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, তখন আমরা সত্যিই খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। তারপর আমরা বেশ কয়েকবার হতাশ করেছি।”
“কিন্তু আমার মনে হয়, আবারও আমরা সমর্থকদের আশাবাদী করে তুলেছি, তারা আবার আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আমি নিশ্চিত, প্রতিপক্ষরা আমাদের সম্মান করবে এবং সমর্থকরা আমাদের সমর্থন করবে। আশা করি, আমরা আমাদের ধরন অনুযায়ী খেলতে পারব, যা আমাদের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। বিশ্বাস করি, আমরা সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব।”
আগামী ২৩ নভেম্বর কোস্টা রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে স্পেনের বিশ্বকাপ অভিযান। 'ই' গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ জার্মানি ও জাপান।