শুরুটা যে আভাস দিল সেটিকে পূর্ণতা দিতে পারল না ফিওরেন্তিনা। লাউতারো মার্তিনেসের নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়াল ইন্টার মিলান। পরে প্রতিপক্ষের আক্রমণের অসংখ্য ঝাপটা সমাল দিয়ে ধরে রাখল ইতালিয়ান কাপের শিরোপা।
রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে রোমাঞ্চকর ফাইনালে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে সিমোন ইনজাগির দল।
তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। নিকোলাস গনসালেসের গোলে শুরুতেই এগিয়ে যায় ফিওরেন্তিনা। মার্তিনেসের জোড়া গোলে জয়ের হাসিতেই মাঠ ছাড়ে ইন্টার।
ইতালিয়ান কাপে এটি তাদের নবম শিরোপা, এবার জিতে দলটি স্পর্শ করল রোমাকে। তাদের চেয়ে বেশি শিরোপা (১৪) আছে কেবল ইউভেন্তুসের।
তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় ফিওরেন্তিনা। জাকোমো বোনাভেঞ্চুরার ক্রসে দূরের পোস্টে বল পেয়ে যান গনসালেস। অরক্ষিত এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বাকিটা সারেন অনায়াসে।
ষষ্ঠ মিনিটে নিজেদের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ইন্টার। খুব ভালো জায়গা থেকেও বাইরে শট নেন এদিন জেকো। ছয় মিনিট পর বিপজ্জনক জায়গা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফিওরেন্তিনার সোফিয়ান আমরাবাত।
২৪তম মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন জেকো। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মার্তিনেসের কাছ থেকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে বাইরে মারেন তিনি।
পাঁচ মিনিট পর প্রতি আক্রমণ থেকে সমতা ফেরায় ইন্টার। মার্সেলো ব্রজোভিচের ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত মার্তিনেস। চলতি মৌসুম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইন্টারের হয়ে এটি তার ২৬তম গোল।
৩৭তম মিনিটে এগিয়েও যায় ইন্টার। নিকো বারেল্লার ক্রসে অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে ফের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মার্তিনেস।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে জালের দেখা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন রোমেলু লুকাকু। ডি বক্সের থেকে তার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ফিওরেন্তিনা গোলরক্ষক। পাঁচ মিনিট পর গনসালেসের শট ঠেকিয়ে ইন্টারের ত্রাতা গোলরক্ষক।
৭৭তম মিনিটে দুর্দান্ত স্লাইডে রবিন গোজেন্সকে গোলমুখে বলের নাগাল পেতে দেননি ফিওরেন্তিনার ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দোদো। দুই মিনিট পর প্রতি আক্রমণে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে লুকা ইয়োভিচের শট ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখেন ইন্টার গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচ।
৮২তম মিনিটে একটুর জন্য হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অরক্ষিত ইয়োভিচ। পাঁচ মিনিট পর গোললাইন থেকে গানসালেসের হেড ঠেকিয়ে ইন্টারের ত্রাতা মাত্তেও দারমিয়ান।
এরপরও চাপ ধরে রাখে ২০০১ সালে সবশেষ ইতালিয়ান কাপ জেতা ফিওরেন্তিনা। কিন্তু হার এড়াতে পারেনি তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে এই জয় বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে ইন্টারকে। আগামী ১০ জুন ইস্তানবুলে ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ইনজাগির দল।