ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
দলের পারফরম্যান্সে প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে পেরে খুশি অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড।
Published : 02 Jul 2024, 05:03 PM
শুরুর একাদশে ফেরাটা রাঙিয়ে রাখতে পারেননি অঁতোয়ান গ্রিজমান। অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড রাখতে পারেননি নিজের ছাপ। বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে তার মতো আক্রমণে অকার্যকর ছিল দলও। তবে কষ্টের জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে উচ্ছ্বসিত গ্রিজমান।
বেলজিয়ামের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ফিরে গ্রিজমান খেলেন অনভ্যস্ত ডানদিকে। বেলজিয়ান ডিফেন্ডার ইয়ান ভার্টোনেনের আত্মঘাতী গোলে জয়ের ম্যাচে রাখতে পারেননি তেমন কোনো প্রভাব।
ত্রিফলা আক্রমণে কিলিয়াম এমবাপে ও বিশেষত মার্কোস থুরামের সঙ্গে সঠিক সমন্বয় খুঁজে পাননি গ্রিজমান। এতে প্রথমার্ধে দূরপাল্লার শটেই সীমাবদ্ধ ছিল ফ্রান্সের চেষ্টা।
বাম দিকে খেলে অভ্যস্ত গ্রিজমান। এই পজিশনে সময়ের সেরাদের একজন তিনি। ডানদিকে মানিয়ে সময় প্রয়োজন তার, ম্যাচ শেষে বললেন সেই কথাই।
“এই কৌশল এখনও আমাদের জন্য নতুন, এর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে। কোচ আমার কক্ষে এসেছিলেন। আমাকে কোথায় খেলাতে চান সেটা বলেছিলেন। আমি উত্তরে বলেছিলাম, ‘চলুন, কোচ, আমি আপনার সঙ্গে আছি, দলের জন্য আছি।’ তিনি জানেন, আমি কোথায় খেলতে পছন্দ করি, কিন্তু আমি সবসময় দলের জন্য, এই কোচের জন্য সবকিছু দেব। আমার ওপর তার আস্থা আছে এবং আমি তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।”
নতুন এই ভূমিকা অবশ্য উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী গ্রিজমান।
“আমি এমন একজন উইঙ্গার নই যে ডিফেন্ডারদের সঙ্গে ‘ওয়ান-অন-ওয়ান’ খেলব। আমি ওয়ান-টু খেলার বেশি চেষ্টা করি।”
“আমি যেকোনো পজিশনে খেলতে পারি। যেখানেই হোক না কেন, আমি সবসময় শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।”
তবে এই জয়ে দলের ডিফেন্ডারদের কৃতিত্বই বেশি দেখছেন গ্রিজমান। তার মতে, সাফল্য পেতে হলে দুর্দান্ত একটি রক্ষণভাগ দরকার যেকোনো দলের।
“রক্ষণের দিক থেকে এটা দলের জন্য দারুণ একটা ম্যাচ ছিল। দুর্দান্ত রক্ষণভাগ ছাড়া আপনি দূরে যেতে পারবেন না। আমরা আমাদের ডিফেন্ডারদের নিয়ে খুবই খুশি ও গর্বিত।”
“বেলজিয়ানরা খুব ভালো খেলেছে। আমি সত্যিই তাদের পছন্দ করি। এটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোলো (রান্দাল কোলো মুয়ানি) খেলতে নামায় আমরা পার্থক্য গড়ে দিতে পেরেছি।”