স্প্যানিশ ফুটবল
উদাহরণ হিসেবে ভিনিসিউস জুনিয়র, ফেদেরিকো ভালভের্দে, রদ্রিগোর কথা বললেন রেয়াল মাদ্রিদ কোচ।
Published : 26 Feb 2025, 09:18 AM
একজন তরুণ খেলোয়াড়ের জন্য রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাওয়া সহজ নয়। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তাদের একাদশে জায়গা করে নিতে হয়। ইউরোপের সফলতম ক্লাবটিতে অতীতে এভাবেই নিজেদের গড়ে তুলেছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, ফেদেরিকো ভালভের্দে, রদ্রিগোরা। কোচ কার্লো আনচেলত্তি বললেন, এখানে নিয়মিত খেলতে তাদের মতো করেই নিজেদের তৈরি করে নিতে হবে আর্দা গিলেরের মতো তরুণ প্রতিভাদের।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রেয়াল মাদ্রিদে বদলি খেলোয়াড়ের ভূমিকা পছন্দ নয় তুরস্কের ২০ বছর বয়সী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার গিলেরের।
ইউরোপের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিভাদের একজন গিলের সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রেয়ালের সবশেষ পাঁচ ম্যাচে এক মিনিটের জন্যও মাঠে নামতে পারেননি।
কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে বুধবার রাতে রেয়াল সোসিয়েদাদের মুখোমুখি হবে রেয়াল মাদ্রিদ। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে নিজের ভাবনা জানালেন আনচেলত্তি।
“যার মনেই কোনো প্রশ্ন আছে, আমার অফিসে আসতে পারে। আমার দরজা সবসময় খোলা। তথাকথিত ‘গিলের ইস্যুর’ কথা আমি শুনলাম, তবে এই ব্যাপার ক্লাবের মধ্য থেকে আমার নজরে আসেনি।… যে তরুণ খেলোয়াড়রা এখানে এসেছে, তাদের জন্য একটি প্রক্রিয়া আছে।”
“রদ্রিগো, ভিনিসিউস জুনিয়র, ফেদেরিকো ভালভের্দের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে… আর এখন দেখুন ওরা কোথায় আছে। যখন কেউ বিশ্বের সেরা স্কোয়াডে যোগ দেয়, তখন তার যথাযথ সময় প্রয়োজন। প্রত্যেকেই এটা বোঝে, যে বুঝতে পারে না, তাকেও বুঝতে হবে।”
১৮ বছর বয়সে রেয়ালে যোগ দেওয়া লাতিন আমেরিকার তিন প্রতিভা রদ্রিগো, ভিনিসিউস ও ভালভের্দে প্রথম কয়েক মৌসুম খেলেন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। সেই সময়ে রিজার্ভ স্কোয়াডের হয়েও নিয়মিত খেলতেন তারা।
ধারে দেপোর্তিভো লা করুনায় একটি মৌসুম কাটানো ভালভের্দে ২০২২ ও ২০২৪ সালে রেয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
লা লিগায় বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট হলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকায় টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে রেয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোয়। এই দলের হয়ে অনুশীলনে গিলেরের কোনো সমস্যা দেখেন না আনচেলত্তি।
“প্রতিদিন আমি এই খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকি। প্রতিদিন আমি (গিলেরকে) প্রায় খুশিই দেখি। আর এটাই স্বাভাবিক। কারণ, খেলার সুযোগ পাচ্ছে না এমন একজন খেলোয়াড় খুব আনন্দে আছে, এটা আমি দেখতে চাই না।”
“আমি দেখি যে, একজন খেলোয়াড় পরিশ্রম করছে, শিখছে এবং খেলতে চায়। তবে এটা আমার তার সঙ্গে কাটানো স্বল্প সময়ে দেখা। সে অন্যদের সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটায়। আমি জানি না, আমার মতো তাদেরও একই মত কিনা। তার উন্নতি করতে হবে এবং রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে পারতে হবে… যদি ব্যাপার এটাই হয় তাহলে এটা কেবলই যোগাযোগের ঘাটতি।”
উদাহরণস্বরূপ সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন বিশ্বকাপ জয়ী কিলিয়ান এমবাপের উদাহরণও টানলেন আনচেলত্তি।
“চেঞ্জিং রুমের আবহ এখন ভালো। আপনারা কিলিয়ান এমবাপেকে দেখেছেন, যে নম্র মনোভাব নিয়ে এসেছে, খুবই সাধারণভাবে থাকে। অহংবোধের কথা বললে, তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্ষীয়ানরা উদাহারণ দিয়ে শেখাচ্ছে এবং ধীরে ধীরে তরুণ খেলোয়াড়রা আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”