বিশ্বকাপ বাছাই
জয়ের চেয়েও কঠিন লড়াইয়ে তিয়াগো আলমাদা, জুলিয়ানো সিমেওনেরা যেভাবে নিজেদের নিংড়ে দিয়েছেন, তাতে বেশি খুশি আর্জেন্টিনা কোচ।
Published : 22 Mar 2025, 04:56 PM
উরুগুয়ের মতো দলের বিপক্ষে জেতা, সেটাও তাদের মাঠে এবং লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্তিনেসের মতো দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়া- স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। জয়ের চেয়েও মেসি-মার্তিনেসদের অনুপস্থিতিতে তিয়াগো আলমাদা, জুলিয়ানো সিমেওনেদের মতো নতুনরা দলের প্রয়োজনে এগিয়ে আসায় বেশি খুশি তিনি।
উরুগুয়ের মাঠে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। এই জয়ে ২০২৬ আসরের চূড়ান্ত পর্বের দুয়ারে পৌঁছে গেছে তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী কোচ স্কালোনি বললেন, দলের শক্তির গভীরতায় তিনি তৃপ্ত।
“কীভাবে আমি সন্তুষ্ট না হতে পারি? জয়ের জন্য নয়, যেভাবে তারা নিজেদের সবটুকু দিয়েছে তার জন্য। এটা এমন মাঠ, যেখানে খেলতে এসে প্রতিপক্ষের প্রবল চাপ সামলাতে হয়, যখন গোলের সুযোগ আসে, সেটা কাজে লাগাতে হয়। যখন রক্ষণ সামলানোর প্রয়োজন পড়ে তখন সেটা করতে হয়- এটা কঠিন”
“জাতীয় দল একটা দল। এখানে যখন কেউ অনুপস্থিত থাকে তখন আরেকজন এগিয়ে আসে। এমনকি আজ যখন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছিল না, তখনও আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছি। পারফরম্যান্স হয়তো ভিন্ন হয় তবে দল নামের উর্ধে।”
ম্যাচের শুরুতে উরুগুয়ের প্রবল চাপে রক্ষণ ছেড়ে সেভাবে বের হতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। আলমাদা, সিমেওনেদেরও অনেক নিচে নেমে এসে রক্ষণে সাহায্য করতে হচ্ছিল। কেন এতেটা চাপে পড়তে হয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে কীভাবে আর্জেন্টিনা দাপটের সঙ্গে খেলতে পারল, ব্যাখ্যা করলেন স্কালোনি।
“উরুগুয়ে প্রথম ২০ বা ২৫ মিনিট খুব ভালো খেলেছে। সে সময় আমরা রক্ষণ সামলেছি, প্রতি আক্রমণ করেছি, যেটা ছিল পরিস্থিতির দাবি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বেশি আধিপত্য করেছি এবং তখন খেলাটা ভিন্ন ছিল। ফুটবল এমন সব মুহূর্তের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নেয়। আপনাকে জানতে হবে কীভাবে রক্ষণ সামলাতে হয়।”
“ডান দিকে ওরা মাথিয়াস অলিভেরা, রোনাল্দ আরাউহো, জর্জিয়ান দে আরাকায়েস্তাকে রেখেছিল। পরে আরাকায়েস্তার জায়গায় নিকোলাস দে লা ক্রুস এলো। এরা আমাদের বেশ ভুগিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে জুলিয়ানো খেলল ওলিভেরার কাছাকাছি, নাহুয়েল মোলিনা খেলল আরাউহোর কাছাকাছি এরপর দলের খেলার উন্নতি হলো।”
১৩ ম্যাচে নয় জয় ও এক ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আছে লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়নরা।