চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
লিলের চেয়ে ভিন্ন ও আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বলে খেলোয়াড়দের সাবধান করে দিয়েছেন নিকো কোভাচ।
Published : 13 Mar 2025, 03:05 PM
প্রতিপক্ষের মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকার আনন্দে ভাসছেন নিকো কোভাচ। সামনের চ্যালেঞ্জও ভাবনায় আছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচের, কোয়ার্টার-ফাইনালে যে তাদের সামনে অপেক্ষায় দুর্দান্ত ছন্দে এগিয়ে চলা হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা।
লিলের মাঠে বুধবার রাতে ২-১ গোলে জিতেছে বরুশিয়া। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় জায়গা করে নিয়েছে শেষ আটে।
শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল জার্মান ক্লাবটি। ফিরতি লেগে পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে ফরাসি ক্লাবটির হৃদয় ভেঙে কোয়ার্টার-ফাইনালে জায়গা করে নেয় ডর্টমুন্ড, যেখানে আগে থেকেই তাদের অপেক্ষায় আছে বার্সেলোনা।
জানুয়ারির শেষ দিকে ডর্টমুন্ডের কোচ হয়ে আসা কোভাচ খুশি প্রতিপক্ষের মাঠে দলের পারফরম্যান্সে। ডিএজেডএনের সঙ্গে আলাপচালিতায় প্রশংসা করলেন দলের হার না মানা মানিকতায়।
“দারুণ এক দলীয় প্রচেষ্টা। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা এক গোলে পিছিয়ে পড়েছিলাম। তবে এরপরও দল ম্যাচে আধিপত্য করেছে।”
“সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাওয়ে ম্যাচ হিসেবে আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। যা এই দলের মানের পাশাপাশি দেখিয়েছে যে, এই ধরনের ম্যাচ তাদের জন্যই।”
বেনফিকাকে সহজেই হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে বার্সেলোনা। রাফিনিয়া, লামিনে ইয়ামাল, রবের্ত লেভানদোভস্কিদের উপস্থিতিতে দলটির আক্রমণভাগ ভীতি জাগানিয়া। বল পায়ে যে কোনো দলকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে তারা। চলতি মৌসুমে অনেকবার তা করেও দেখিয়েছে।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে চলতি আসরে বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে ডর্টমুন্ডের। সে সময় অবশ্য দলটির কোচ ছিলেন না কোভাচ। গত ১২ ডিসেম্বরের সেই ম্যাচে নিজেদের মাঠে ৩-২ গোলে হেরেছিল গতবারের রানার্সআপরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলতি মৌসুমের আগে কেবল দুটি ম্যাচে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল ডর্টমুন্ড; ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করার পর ফিরতি লেগে হেরেছিল ৩-১ গোলে।
ইতিহাস ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দুটোই ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। তবে হাল ছাড়ার তো কিছু নেই। কোভাচ আত্মবিশ্বাসী এই বার্সেলোনার বিপক্ষেও সুযোগ পাবেন তারা।
“বল পায়ে লিল শক্তিশালী দল। তবে বার্সেলোনা এক্ষেত্রে চূড়ায় থাকবে, সত্যি বলতে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে থেকে।”
“আমাদের জন্য, এর অর্থ হলো ম্যাচের যে সময়েই আমরা পজেশন পাব, সেটার সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হবে। যখন বল পজেশন আমাদের থাকবে না, তখন আমাদের ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে হবে। তবে আমাদেরও ভালো খেলোয়াড় আছে, ভালো গতি আছে, এর সাহায্যে আমরা প্রতিপক্ষের ক্ষতি করতে পারব।”