বাংলাদেশের টেস্ট নিয়ে শঙ্কা কাটলো। আইসিসির সব পূর্ণ সদস্য দেশই টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাবে। সদস্যদের মর্যাদার কোনো হেরফের হবে না।
Published : 28 Jan 2014, 10:12 PM
মঙ্গলবার দুবাইতে আইসিসির সভায় ‘৩ মোড়লের’ আনা খসড়া প্রস্তাব অন্যদের প্রবল বিরোধিতার মুখে ভোটে উঠেনি। আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞতিতে বলা হয়েছে, সব সদস্যেরই যোগ্যতা অনুযায়ী সব ধরনের ক্রিকেট খেলার সুযোগ বর্তমানের মতোই রাখার বিষয়ে সভায় সবাই একমত হয়েছে।
আইসিসির সভায় টেস্ট খেলার অধিকার রক্ষায় নিজেদের দৃঢ় অবস্থান পূনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার প্রভাব বলয়ে থাকা আইসিসির ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির তৈরি খসড়া প্রস্তাবে রাজস্ব বন্টন মডেল, প্রশাসনিক কাঠামো ও ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) বড় ধরনের পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল। পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়ের ৯ ও ১০ নম্বর দেশকে টেস্ট খেলতে না দিয়ে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আইসিসি কন্টিনেন্টাল কাপে খেলানোর প্রস্তাব রাখা হয়।
ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে কমপক্ষে আগামী চার বছর টেস্ট খেলার সুযোগ থাকতো না বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার দুবাইয়ে আইসিসির সভায় তিন প্রভাবশালী দেশের খসড়া প্রস্তাবে ওপর আলোচনার সময় নিজেদের অবস্থানের কথা জানায় বিসিবি।
দুবাই থেকে বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা বলেছি, পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো প্রস্তাবে সায় দেবে না বিসিবি।”
বিসিবিসহ অন্যান্য বোর্ডের বিরোধিতার মুখে আইসিসির খোলনলচে পাল্টে ফেলতে তিনটি প্রভাবশালী বোর্ডের 'বিতর্কিত' খসড়া প্রস্তাব ভোটাভুটির জন্য সভায় ওঠানো হয়নি। দুবাইতে মঙ্গলবার আইসিসির ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সভায় এ নিয়ে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তর্ক-বিতর্কের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে খসড়া প্রস্তাবে থাকা অনেক সুপারিশের বিষয়েই সবাই একমত হয়েছে।
আগামী মাসে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের তৈরি করা এই খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।