‘যেকোনো ডিফেন্ডার লেভানদোভস্কিকে সতীর্থ হিসেবে চাইবে’

বিশেষ করে গত কয়েক মৌসুমে যেভাবে ‘গোল মেশিন’ হয়ে উঠেছিলেন রর্বেত লেভানদোভস্কি, তাতে প্রতিপক্ষ যেকোনো ডিফেন্ডারেরই ঘুম হারাম হওয়ার কথা। পোলিশ ফরোয়ার্ডকে এখন বার্সেলোনায় সতীর্থ হিসেবে পাবেন এরিক গার্সিয়া। তাই এখন বেশ নির্ভার এই স্প্যানিয়ার্ড। তার মতে, সাবেক বায়ার্ন তারকাকে সব ডিফেন্ডারই নিজ দলে পেতে চাইবে।

আগেই সবকিছু নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বায়ার্ন থেকে লেভানদোভস্কিকে দলে টানার ঘোষণা দেয় বার্সেলোনা। চার বছরের জন্য চুক্তি করবেন তিনি। 

বায়ার্নে সাফল্যে ভরা অধ্যায় শেষে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন লেভানদোভস্কি। জার্মানির সফলতম দলটির হয়ে প্রতি মৌসুমে বুন্ডেসলিগা এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ জিতেছেন তিনি সব ধরনের শিরোপা। ৩৭৫ ম্যাচে গোল করেছেন ৩৪৪টি। গত দুই বছর জিতেছেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব।

গোলমুখে এমন বিধ্বংসী একজন স্ট্রাইকারকে সামলানো যেকোনো ডিফেন্ডারের জন্যই কঠিন কাজ। মুখোমুখি লড়াইয়ে সেই অভিজ্ঞতা আছে গার্সিয়ারও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত আসরে একই গ্রুপে ছিল বায়ার্ন ও বার্সেলোনা; প্রথম লেগে স্প্যানিশ দলটির ৩-০ গোলে হারের ম্যাচে লেভানদোভস্কির বিপক্ষে খেলেছিলেন গার্সিয়া। ওই ম্যাচে জোড়া গোলও করেছিলেন লেভানদোভস্কি। দ্বিতীয় লেগেও একই ব্যবধানে হেরেছিল বার্সেলোনা, তবে ওই ম্যাচে মাঠে নামেননি গার্সিয়া।

প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে গত মঙ্গলবার ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে ৬-০ গোলে জেতা ম্যাচের পর নতুন সতীর্থের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন গত বছর বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া গার্সিয়া।

“আমি মনে করি, একজন ডিফেন্ডার হিসেবে লেভানদোভস্কিকে দলে পাওয়া সবচেয়ে ভালো ব্যাপার। সে একজন বিশ্বমানের ফরোয়ার্ড। আমি নিশ্চিত, সে আমাদের অনেক সাহায্য করবে। আশা করি, সে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের সাহায্য করা শুরু করবে।”

যুক্তরাষ্ট্র সফরে আগামী শনিবার চিরপ্রতিদ্বন্দী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলবে বার্সেলোনা। এই ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে লেভানদোভস্কির।