শেষ দিকে জমে ওঠা ম্যাচে শেখ জামাল-সাইফ স্পোর্টিংয়ের ড্র

প্রথমবার সেরা একাদশে জায়গা পেলেন সোহানুর রহমান। আস্থার প্রতিদানও দিলেন গোল করে। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে একটা পর্যায়ে এগিয়ে গিয়ে জয়ের আশাও জাগাল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু ভালিজনভ ওতাবেকের স্পট কিকে সমতার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুক্রবার দুই দলের ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়েছে। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগেও একই স্কোরলাইনে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছিল তারা।

এই ড্রয়ে লিগে রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ল দুই দলই। ১৯ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট তিনে আছে সাইফ স্পোর্টিং। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে শেখ জামাল।

মুন্সিগঞ্জে শুরু থেকে দুই দলই মেলে ধরে পাসিং ফুটবলের পসরা। কিন্তু আক্রমণের ধার না থাকায় প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরীক্ষা নিতে পারছিল না কেউই।

ষষ্ঠ মিনিটে ধাক্কা খায় সাইফ স্পোর্টিং। রায়হান হাসান জাপটে ধরে ফেলে দিলে চোট পান এমেকা ওগবাহ। মাঠের বাইরে আইস-ব্যাগ গলার একটু নিচে ধরে রাখতে দেখা যায় তাকে। একটু পর অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়েন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। বদলি নামেন সাজ্জাদ হোসেন।

প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে খেই হারানো দুই দল দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছিল না। ৩২তম মিনিটে শেখ জামালের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড মুসা নাজারের দূরপাল্লার শট যায় বাইরে।

ম্যাড়মেড়ে ম্যাচের ‘ডেডলক’ খোলে ৩৭তম মিনিটে। শাকিল আহমেদের কর্নারে হেডে শেখ জামালকে এগিয়ে নেন সোহান। এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় ২০১৫ সালের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা এগোয় একই ধাঁচে। ৬২তম মিনিটে সাইফ স্পোর্টিংয়ের এমফন উদোহর কোনাকুনি শট যায় পোস্টের বাইরে।

৬২তম মিনিটে রাহিম উদ্দিনের বাঁকানো শট অনেকটা লাফিয়ে এক হাতের ছোয়াঁয় সেভ করেন গোলরক্ষক। সমতায় ফেরার আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের।

৭৪তম মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নারে বল সৌরভের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় সাইফ স্পোর্টিং। সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান এমেরি বাইসেঙ্গে।

৮৯তম মিনিটে কাছের পোস্টে নেওয়া উদোহর শট আটকে শেখ জামালের ত্রাতা গোলরক্ষক। যোগ করা সময়ে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ম্যাচ জুড়ে দারুণ দৃঢ়তায় রক্ষণ সামলানো রায়হান হোসেনের বাধা এড়িয়ে দূরূহ কোন থেকে আসসোর গফুরভ লক্ষ্যভেদ করেন। জয়ের আশা জাগে সাইফ স্পোর্টিংয়ের।

নাটকীয়তার তখনও বাকি। শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে সোহানের শট আবিদের হোসেনের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় শেখ জামাল। ওতাবেক নিখুঁত স্পট কিকে সমতা ফেরান।

১৯ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। এক ম্যাচ কম খেলা আবাহনী লিমিটেড ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। সাইফ স্পোর্টিং ও শেখ জামালের ড্রয়ের লিগ শিরোপার লড়াইটা এখন এই দুই দলেরই।