শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ শেষে মাঠের ভেতরে জটলা। কিংসের খেলোয়াড়রা সবাই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে গেলেন। বিষণ্ণ মনে প্রিয় সতীর্থ জোনাথন দি সিলভেইরা ফের্নান্দেসকে বিদায় জানাতে এই আয়োজন। যা ছুঁয়ে গেল ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারকেও। ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ বাংলাদেশে আবারও ফিরে আসার আশার কথা শোনালেন ফের্নান্দেস।
Published : 28 Feb 2022, 05:32 PM
২০২০ সালে কিংসে যোগ দিয়ে দ্রুতই দলটির মাঝমাঠের প্রাণভোমরা হয়ে ওঠেন ফের্নান্দেস। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই তাকে দেখা যেত মিডফিল্ডে আক্রমণের সুর বেঁধে দিতে আর রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো, মোহাম্মদ ইব্রাহিমরা তার সুফল তুলতেন। কিংসও পায় একের পর এক সাফল্য।
কিন্তু সুদিন স্থায়ী হলো না। গত স্বাধীনতা কাপে পুলিশ এফসির বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ঘটে বিপত্তি। বাঁ পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে সেই যে মাঠ ছাড়লেন, এরপর আর মাঠে ফেরা হলো না তার।
২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করেছিল কিংস। অস্কার ব্রুসনও আশায় ছিলেন ব্যস্ত সূচিতে নির্ভরযোগ্য সেনানীকে পাওয়ার। কিন্তু দ্রুত তার ঠিকঠাক সেরে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই শেষ পর্যন্ত বন্ধন ছিন্ন করতে হলো কিংসকে। বাস্তবতা বুঝেছেন ফের্নান্দেসও। নিজের এই পরিণতির জন্য দোষ দিলেন কমলাপুরের টার্ফের।
“টার্ফের কারণে আমার এই ইনজুরি হয়েছে। ওখানকার মাঠ ভালো নয়, কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই কমলাপুরের টার্ফ ভালো নয়। কিন্তু এখন আর এসব নিয়ে ভাবছি না। ভাবনা শুধু দ্রুত রিকভারি নিয়ে। দেশে ফিরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে।”
গত লিগে কিংসের হয়ে ২২ ম্যাচ খেলে ৭ গোল করেছিলেন ফের্নান্দেস। গত স্বাধীনতা কাপে করেন তিন গোল। এএফসি কাপেও গোল আছে একটি। কিংসের হয়ে ২০২০-২১ মৌসুমে লিগ ও ফেডারেশন কাপ জিতেন তিনি। বিদায় বেলায় বাংলাদেশ ও কিংসে ফিরে আসার কথা বললেন ঘুরেফিরে।
“বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। আশা করি, দ্রুতই এখানে ফিরে আসব। আবারও কিংসের হয়ে খেলব। বেশ কিছু সুখের স্মৃতি নিয়ে আমি ব্রাজিলে ফিরে যাচ্ছি; কিংসের হয়ে যে শিরোপাগুলো জিতেছি, যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, সেগুলো অবশ্যই আমার জন্য বিশেষ স্মৃতি।”