বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি নির্বাচিত হওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ আগামী দিনে ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন উচ্চতায় নিতে চান। নব-নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরিচিতি পর্বে নিজের লক্ষ্য পূরণে সবার সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
Published : 27 Dec 2021, 06:12 PM
বিওএ ভবনে সোমবার কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরিচিতি পর্ব শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন শফিউদ্দিন আহমেদ। বৈশ্বিক ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আসর অলিম্পিকে ভালো করা, ক্রিকেটের মতো অনান্য খেলাধুলায় দৃশ্যমান উন্নতির দিকে দৃষ্টি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
“আমাদের উদ্দশ্যে থাকবে, দৃশ্যমান কিছু দেওয়া। বাংলাদেশ অলিম্পিক আগের চেয়ে ভালো করেছে এবং এর কারণে আমাদের বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল এসেছে। দৃশ্যমানটা হলো আমরা ক্রিকেটে যেমন ভালো করছি বা ফুটবলে, সেরকমটা হওয়া।”
“আমি উদাহরণ হিসেবে বলতে চাচ্ছিলাম যে, ব্রাজিল যে পরিমাণ টাকা ফুটবলে বিনিয়োগ করে, ক্রিকেটে কিন্তু ততটা করে না। আমাদের যেসব সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র, সে সব জায়গায় আমরা বেশি করে বিনিয়োগ করব। আমরা বিভিন্ন গেমসে লক্ষ্য রাখছি, অলিম্পকে লক্ষ্য রাখছি যাতে পদকের সংখ্যা যাতে বাড়াতে পারি। সেটাই হবে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন। বিষয়টি এমন যে, আমরা কিছু অর্জন করেছি।”
“স্বভাবতই আমি অলিম্পিক নিয়েই ভাববো। সেটা না ভেবে আমার কোনো উপায় নেই। অবশ্যই ভাবতে হবে। আমরা অর্জনে বিশ্বাস করি। লক্ষ্য থাকতে হবে অনেক দূর। আজকে যদি আমি চাঁদে যাওয়ার চিন্তা করি, আজ হয়তো পারব না, কিন্তু লক্ষ্য থাকা ভালো। আমার লক্ষ্য থাকতে হবে যুগোপোযোগী এবং চ্যালেঞ্জ জেতা। তবে এতো বেশি চ্যালেঞ্জিং না যে কালকেই আমি অলিম্পিকে ১০০ মিটারে স্বর্ণ জিতবো, সেটা আবার বেশি হয়ে যাবে। আমরা পারব না। অলিম্পিকে ভালো করার জন্য সাফ গেমস ও এশিয়ান গেমসে ভালো করতে হবে। এগুলো বড় জায়গায় যাওয়ার একটা পদক্ষেপ মাত্র।”
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করছে দেশ। এ সময়ে দায়িত্ব পাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন বিওএ সভাপতি। আস্থার প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
“এই দায়িত্ব পাওয়া খুবই সৌভাগ্যের বিষয়। এ জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি যে আস্থা আমার উপর রেখেছেন আমি তার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করব।”
“আজই কেবল দায়িত্ব নিলাম। আমার সঙ্গে যারা আছেন, এক্সিকিউটিভ কমিটির সবার সঙ্গে আলোচনা করলাম। তাদের পরিচিতি পেয়ে দেখলাম এই কমিটির সবাই যার যার ফিল্ডে একজন এক্সপার্ট। তাদের সমন্বিত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা একটি সিম্পল লক্ষ্য রেখেছি। সেটা হচ্ছে আগের চেয়ে ভালো করার লক্ষ্য। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আগের চেয়ে ভালো করতে পারব।”