স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ পর্বে মোটামুটি মসৃণ পথ পাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মতো বড় দলগুলো। প্রিমিয়ার লিগের ১২ দল, মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা তিন বাহিনীসহ মোট ১৫ দল নিয়ে হবে এবারের আসর।
Published : 23 Nov 2021, 01:36 PM
গতবারের চেয়ে এবার দল বেড়েছে দুটি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) মঙ্গলবার স্বাধীনতা কাপের লোগো উন্মোচন ও ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৮ সালের সবশেষ স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন কিংস ‘ডি’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ পেয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এই গ্রুপে কিংসের বাইরে কেবল চট্টগ্রাম আবাহনীই এই শিরোপা স্বাদ পেয়েছে, ২০১৬ সালে।
১৯৯০ সালে একবারই স্বাধীনতা কাপ জেতা আবাহনী ২০১৬ সালে সবশেষ রানার্সআপ হয়েছিল। তাদের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে থাকা রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি, স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ কারোরই অভিজ্ঞতা নেই ফাইনাল খেলার।
প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল দল মোহামেডান সবশেষ শিরোপা জিতেছে ২০১৪ সালে। তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার ‘সি’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে সাইফ স্পোর্টিং, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। মোহামেডানের বাইরে এ গ্রুপ থেকে কেবল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র শিরোপাটি একবার জিতেছে; ২০০৫ সালে।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আগামী ২৭ নভেম্বর শুরু হয়ে প্রতিযোগিতাটি শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ১০ ও ১২ ডিসেম্বরে দুটি করে কোয়ার্টার-ফাইনাল, ১৪ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমি-ফাইনাল।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মৌসুমের স্বাধীনতা কাপ আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। যদিও ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ ঠিকই আয়োজন করেছিল ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি।
গ্রুপ ‘এ’: আবাহনী লিমিটেড, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি, স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ।
গ্রুপ ‘বি’: শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, উত্তর বারিধারা, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
গ্রুপ ‘সি’: সাইফ স্পোর্টিং, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গ্রুপ ‘ডি’: বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী।