প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করা বার্সেলোনা পারল না পাল্টা জবাব দিতে। বল দখলে আধিপত্য করলেও ধারহীন আক্রমণে কেবল হতাশাই বাড়াল তারা। আধিপত্য ধরে রেখে অনায়াস জয় তুলে নিল আতলেতিকো মাদ্রিদ।
Published : 03 Oct 2021, 02:53 AM
ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে দিয়েগো সিমেওনের দল। তুমা লিমাঁ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুইস সুয়ারেস।
স্বাগতিকরা আরও কয়েকটি ভালো সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান হতে পারতো আরও বড়।
বল দখল ও গোলের উদ্দেশে শট নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে বার্সেলোনা। তবে প্রতিপক্ষ শিবিরে তারা ভীতি ছড়াতে পারে কমই। পুরো ম্যাচে ৭০ শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণে রেখে মোট ৯টি শট নেয় রোনাল্ড কুমানের দল, যার দুটি ছিল লক্ষ্যে। আর আতলেতিকোর ছয় শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আতলেতিকোর বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়শূন্য রইলো বার্সেলোনা, এর তিনটিতেই পরাজয়। এর মধ্যে লা লিগায় চার ম্যাচে দুটি করে হার ও ড্র। আর ২০২১ স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ৩-২ গোলে হেরেছিল কাতালান ক্লাবটি।
প্রথম ২০ মিনিটে উল্লেখযোগ্য দুটি হাফ-চান্স পায় আতলেতিকো, দুটিই অবশ্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অষ্টম মিনিটে লিমাঁর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যাওয়ার পর সপ্তদশ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের শটও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এতে বার্সেলোনার রক্ষণের দুর্বলতা ফুটে ওঠে। ডি-বক্সে লিমাঁর ফাঁকায় বল পাওয়াটা ছিল দৃষ্টিকটু। গোলের পর জেরার্দ পিকে ও সের্হিও বুসকেতসের মাঝে বাক্য বিনিময়েও তাদের বোঝাপড়ার ঘাটতি স্পষ্ট হয়। মাঝমাঠে মেমফিস ডিপাইকেও ক্ষুব্ধভাবে কিছু বলতে দেখা যায়।
চার মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে সমতায় ফিরতে পারতো বার্সেলোনা। তবে ডি-বক্সের মুখ থেকে ফিলিপে কৌতিনিয়োর নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিটেই ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেস; ফেলিক্সের পাস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা।
বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দল তাকে না রাখায় গত বছর সেপ্টেম্বরে আতলেতিকোয় যোগ দেন সুয়ারেস। সাবেক দলের বিপক্ষে এটিই তার প্রথম গোল। আগেই বলেছিলেন, গোল পেলে উদযাপন করবেন না। করেননি, দুই হাত জোড় করে যেন সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি।
৬০তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কৌতিনিয়ো। ডান দিক থেকে তরুণ মিডফিল্ডার গাভির পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। লক্ষ্যে এটাই তাদের প্রথম শট।
বাকি সময়ে আর কেউই পারেনি কোনো সুযোগ তৈরি করতে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচেও ডাগআউটে ছিলেন না কুমান। স্ট্যান্ডে বসা এই ডাচ কোচের চোখে-মুখে ছিল হতাশা। দলের আরেকটি বাজে পারফরম্যান্সে তার ওপর চাপ বাড়ল আরও।
আট ম্যাচে পাঁচ জয় ও দুই ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আতলেতিকো। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ সমান পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।
রিয়ালের সমান সাত ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রিয়াল সোসিয়েদাদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই ম্যাচেই হারা বার্সেলোনা এবারের লা লিগায় হারল এই প্রথম। সাত ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে নবম স্থানে।