কাশিমা সকার স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম সেমি-ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-১ গোলে জিতল ব্রাজিল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের লড়াই গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।
টাইব্রেকারে ব্রাজিলের প্রথম চার শটের সবকটিই হয়েছে গোল। কিন্তু মেক্সিকোর নেওয়া প্রথম দুই শটই হয় ব্যর্থ। এদুয়ার্দোর দুর্বল শট ব্রাজিল গোলরক্ষক সান্তোস ফেরানোর পর ইয়োহান ভাসকেস মারেন পোস্টে।
ম্যাচের শুরু থেকে চাপ তৈরি করা ব্রাজিল দশম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। তবে গিলেরমো আরানার ছয় গজ বক্সের বাঁ থেকে নেওয়া শট রুখে দেন ৩৬ বছর বয়সী অভিজ্ঞ গোলরক্ষক গিলেরমো ওচোয়া।
২৮তম মিনিটে মেক্সিকোর ডি-বক্সে তাদের এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জে দগলাস লুইস পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে অবশ্য ভিএআরের সাহায্যে পাল্টান সিদ্ধান্ত।
ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা মেক্সিকো বিরতির ঠিক আগে সুবর্ণ সুযোগ পায়। কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি উরিয়েল আন্তুনা। তার শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ছুটে আসা ডিফেন্ডার দিয়েগো কার্লোসে প্রতিহত হয়।
গ্রুপ পর্বে পাঁচ গোল করা রিশার্লিসন ৮২তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার দারুণ সুযোগ পান, কিন্তু দুর্ভাগ্য বাধ সাধে। দানি আলভেসের ক্রসে ঝাঁপিয়ে এভারটন ফরোয়ার্ডের হেড পোস্টের ভেতরের দিকে লেগেও ভেতরে যায়নি।
২০১২ লন্ডন অলিম্পিকসের ফাইনালে এই মেক্সিকোর কাছে হেরেই প্রথম সোনার পদকের স্বপ্ন ভেঙেছিল ব্রাজিলের। পরের আসরেই ঘরের মাঠে অধরা সেই স্বাদ পায় তারা। এবার লক্ষ্য শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার।
ফাইনালে ব্রাজিল খেলবে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে জাপান ও স্পেনের মধ্যে বিজয়ীর বিপক্ষে।