গ্রুপের শীর্ষ দুইয়ে থেকে পরের রাউন্ডে যেতে শুধু জিতলেই হতো না সুইজারল্যান্ডের, নির্ভর করতে হতো অন্য ম্যাচের ওপর। নিজেদের কাজটা সারলেও দ্বিতীয় চাওয়া পূরণ হয়নি তাদের। তাই দাপুটে পারফরম্যান্সে তুরস্ককে উড়িয়ে দিলেও অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে সুইসদের।
Published : 21 Jun 2021, 12:04 AM
বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রোববার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে সুইজারল্যান্ড। একই সময়ে গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইতালির কাছে ১-০ গোলে হেরেও দ্বিতীয় হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ওয়েলস।
সুইজারল্যান্ডের আশা এখন ছয় গ্রুপের তৃতীয় হওয়া সেরা চার দলের একটি হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার।
তিন ম্যাচে শতভাগ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের সেরা হয়েছে ইতালি। ওয়েলস ও সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট সমান ৪ করে, গোল পার্থক্যে এগিয়ে ওয়েলস। আসর থেকে বিদায় নেওয়া তুরস্কের পয়েন্ট শূন্য।
ম্যাচে গোলের উদ্দেশে সুইসদের ২৩ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১০টি। বিপরীতে তুরস্কের ১৯ শটের ৬টি লক্ষ্যে ছিল। দুই গোলরক্ষকই দারুণ কিছু সেভ করেন।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে ম্যাচ। চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় তুরস্ক। ডি-বক্সের বাইরে থেকে কান আইহানের জোরালো শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সামের।
ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম আক্রমণ থেকেই এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ডি-বক্সের বাইরে থেকে সেফেরোভিচের বাঁ পায়ের নিচু শট এক ডিফেন্ডারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়ায়।
ষোড়শ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পায় তুরস্ক, আবারও সুইজারল্যান্ডের ত্রাতা সামের। কাছ থেকে মের্ত মুলদুরের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন তিনি।
দুই মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ানোর দারুণ একটি সুযোগ পান সাচিরি। বল নিয়ে খানিকটা এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ওয়ান-অন-ওয়ানে তার নেওয়া শট পা দিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।
৩৩তম মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত সেভে জাল অক্ষত রাখেন সামের। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মুলদুরের জোরালো শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। বিরতির পর এই ডিফেন্ডারের আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন ৩২ বছর বয়সী গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে দারুণ সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি চাকির। সুইস স্ট্রাইকার ব্রিল এমবোলোর শট লাফিয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল পাঠান। একটু পর সেফেরোভিচে নিচু শটও ফেরান তিনি।
পাঁচ মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নেয় সুইজারল্যান্ড। স্টিভেন সুবারের পাস ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় বাঁ পায়ের শট নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সাচিরি। প্রথম দুই গোলেও সহায়তা করেন সুবার।
ওয়েলসের চেয়ে এগিয়ে যেতে তখনও সুইজারল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২ গোল। শেষ পর্যন্ত আর জালের দেখা মেলেনি। ৭৬তম মিনিটে গ্রানিত জাকার ফ্রি কিক পোস্টে লাগে।