প্রথমার্ধে গোছালো ফুটবল খেলা বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে খেই হারিয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত জিতলেও দলের শেষ ভাগের খেলা নিয়ে খুশি হতে পারেননি কোচ জেমি ডে।
Published : 13 Nov 2020, 07:56 PM
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রথম প্রীতি ম্যাচে নেপালকে ২-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে নাবীব নেওয়াজ জীবন দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাহবুবুর রহমান সুফিল।
দ্বিতীয়ার্ধে সুফিলের গোলের আগের সময়টা বাংলাদেশ ছিল একেবারে ছন্দহীন। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে দুই গোলদাতার প্রশংসা করলেও দ্বিতীয়ার্ধের ওই সময়টুকু নিয়ে অতৃপ্তির কথা জানালেন ডে।
“দুটি গোলই খুব ভালো হয়েছে। দ্বিতীয় গোল ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছে। এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত, কিন্তু হয়নি। তবে দল জেতায় আমি খুব খুশি। দ্বিতীয়ার্ধে নেপাল ভালো খেলেছে। বলের দখল ও নিয়ন্ত্রণ ওদের ছিল।”
“এটা আমার কাছে প্রি-সিজন ম্যাচ ছিল। কারো চোট হয়নি এটা ভালো ব্যাপার। আমাদের সামনে আরও কঠিন ম্যাচ আছে। কাতারের মাঠে খেলতে যাব। সেখানে আরও কঠিন ম্যাচ হবে। এই জয় আমার কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই জয়ে ভেসে যাচ্ছি না। দ্বিতীয় ম্যাচ (নেপালের বিপক্ষে) কঠিন হবে।”
মাঝমাঠে আলো ছড়াতে পারেননি জামাল ভূইয়া। বদলি নামা সোহেল রানা, আতিকুর রহমান ফাহাদও ছিলেন নিষ্প্রভ। সব মিলিয়ে ম্যাচে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ছিল না দলের মুঠোয়। এর কারণ লম্বা সময় পর খেলতে নামা বলে মনে করেন ৪১ বছর বয়সী এই কোচ।
জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচে প্রত্যাশার ছিটেফোটা প্রতিদানও দিতে পারেননি সুমন রেজা। উত্তর বারিধারার এই ফরোয়ার্ডের অকারণ ছোটাছুটিতে কিছুটা ‘বিরক্ত’ কোচ।
“সুমন খুবই অকারণ ছোটাছুটি করেছে। তার যথাযথ ট্রেনিং হয়নি। এখন আমাদের কাঠামোর মধ্যে এসেছে। ধীরে ধীরে ভালো করবে।”
গত বছর অক্টোবরে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে দুই গোল করেছিলেন ১০ নম্বর পজিশনে খেলা জীবন। নেপালের বিপক্ষেও প্রিয় পজিশনে খেলতে নেমে গোল করেছেন। ডে জানালেন কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে আবাহনী লিমিটেডের ফরোয়ার্ডকে খেলাতে পারছেন না তার পজিশনে।
“১০ নম্বর পজিশনে জীবন ভালো; কিন্তু অনেক সময় তাকে ওই পজিশনে খেলানোর মতো অপশন আমার হাতে থাকে না। যদি মতিন মিয়া থাকে, তাহলে ভালো অপশন তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে জীবন ১০ নম্বর পজিশনে খেলতে পারবে। সুফিলও ভালো করেছে। যদিও সে ভালো করেছে, কিন্তু সে পরিপূর্ণ নাম্বার নাইন নয়।”