বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে নেপাল

প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় মেলেনি। অনুশীলন শুরুর পর দলে থাবা বসিয়েছিল করোনাভাইরাস। তবে সব বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচে ‘ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে ও ভালো ফল পেতে’ আশাবাদী নেপাল কোচ বালগোপাল মহারজন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2020, 12:25 PM
Updated : 8 Nov 2020, 12:25 PM

দলটির গোলরক্ষক কিরণ চেমজং জানালেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে আছেন তারা।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর এ দুটি ম্যাচ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফিরবে দল দুটি।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত দুই আসরে (২০১৩ ও ২০১৮) নেপালের কাছে হেরেছিল দল। দুবারই ২-০ ব্যবধানে। অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে হওয়া দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) সর্বশেষ দেখায়ও বাংলাদেশের হার ১-০ গোলে। নেপাল কোচ অবশ্য এখনই জয়ের হুঙ্কার ছাড়ছেন না। তার লক্ষ্য প্রস্তুতির স্বল্পতা সত্ত্বেও ভালো ফুটবলের পসরা মেলে ভালো ফল পাওয়া।

“কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের আর সব দেশের যে অবস্থা, ফুটবলের কার্যক্রম থেমে গিয়েছিল, একই অবস্থা আমাদের বেলায়ও হয়েছে। এই সময়ে ফিফা ফ্রেন্ডলি আয়োজনের জন্য আমি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানোয় বাংলাদেশ সরকারকে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং টিমের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”

“দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দল যথেষ্ট সময় অনুশীলন করতে পারেনি করোনাভাইরাস এবং আমাদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য। এক সপ্তাহ আগে আমরা অনুশীলন শুরু করেছি। সামনে কয়েকটা দিনে আমরা আরও অনুশীলন করতে পারব। আশা করি, ছেলেরা ভালো পারফরম করবে এবং ভালো ফল এনে দিবে।”

গোলরক্ষক চেমজং ম্যাচ দুটিকে দেখছেন দুটি দেশের ফুটবলে ফেরার দারুণ উপলক্ষ হিসেবে।

“করোনাভাইরাসের কারণে এ মুহূর্তে সারা বিশ্বের কঠিন সময় চলছে। সাত-আট মাস পর আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি, যেটা খুবই ভালো ব্যাপার। দুটি দেশের লম্বা সময় ধরে ঘরোয়া ফুটবল বন্ধ রয়েছে। এই ম্যাচ দুটি দেশকে ফুটবল পুনরায় শুরু করতে সাহায্য করবে। অবশ্যই আমরাও বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে আছি।”