সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় মৃত্যুবরণ করেন নওশেরুজ্জামান। স্ত্রী ও এক ছেলে এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন নওশেরুজ্জামান। রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল ও গ্রীন লাইফে চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়েছিল ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার চাচাতো ভাই সাইদুজ্জামান।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নওশেরুজ্জামানের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর মুনসিগঞ্জে দ্বিতীয় জানাযার পর চাঁদপুরে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের জাতীয় স্বীকৃতি না পাওয়া নিয়ে নওশেরুজ্জামানের আক্ষেপের কথাও ফেইসবুকে লিখেছেন সাইদুজ্জামান।
“সবসময় দুঃখ করে বলতেন স্বাধীন বাংলা দলের হয়ে আমরা খেললাম.. কিন্তু দলটা কোনো স্বীকৃতি পেল না! আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু...মোহামেডানের মত দলের হয়ে ফুটবল খেলেছি, ক্রিকেটে ইনিংস ওপেন করেছি.... আচ্ছা তুই তো সাংবাদিক, একজনের জাতীয় পুরস্কার পেতে আর কি কি লাগে?”
১৯৫০ সালের ৫ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জে জন্ম নেওয়া নওশেরুজ্জামান ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৬৭ সালে রেলওয়ের হয়ে। এরপর ওয়ারী, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াপদা ঘুরে ১৯৭৫ সালে যোগ দেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। ১৯৭৮ থেকে ৮০ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ওয়ান্ডারার্সে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে খেলা নওশেরুজ্জামান পরে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। ফুটবলের মতো ক্রিকেটের আঙিনাও মাতিয়েছিলেন তিনি। মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া ও কলাবাগানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন ১৭ বছর।