পিএসজির তারকাসমৃদ্ধ আক্রমণভাগকে বেঁধে রেখে দাপুটে ফুটবল খেলল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। আর্লিং ব্রাট হরল্যান্ডের জোড়া গোলের মাঝে নেইমার-এমবাপে জুটিতে ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি ফেরে পিএসজি শিবিরে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দারুণ জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছে জার্মান ক্লাবটি।
Published : 19 Feb 2020, 02:53 AM
ঘরের মাঠে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। পিএসজির একমাত্র গোলটি করেন চোট কাটিয়ে ফেরা নেইমার।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠা লড়াইয়ের ২৭তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ডর্টমুন্ড। তবে ডি-বক্সে ঢুকে ইংলিশ মিডফিল্ডার জেডন স্যানচোর নেওয়া কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। আট মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ পেয়ে জোরালো শটে পাশের জাল কাঁপান জানুয়ারির দলবদলে ডর্টমুন্ডে আসা হরল্যান্ড।
৬৯তম মিনিটে সাফল্যের দেখা পায় ম্যাচ জুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলা ডর্টমুন্ড। গেররেইরোর শট প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে গোলমুখে বল পেয়ে যান হরল্যান্ড। ঠাণ্ডা মাথায় আলতো টোকায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার।
৭৫তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে সমতায় ফেরে পিএসজি। গোলটির কারিগর এমবাপে; দুই ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ফরাসি ফরোয়ার্ডের বাড়ানো বল গোলমুখে পেয়ে অনায়াসে জালে ঠেলে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার।
ডর্টমুন্ডের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষিক্ত হরল্যান্ডের একক নৈপুণ্যে পিএসজির স্বস্তি দুই মিনিটও স্থায়ী হয়নি। সতীর্থের পাস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ২২ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে দলকে আবারও এগিয়ে নেন ১৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। ডর্টমুন্ডের হয়ে সাত ম্যাচে তার গোল হলো ১১টি।
পিছিয়ে পড়ার খানিক পরেই আরেকটি ভালো সুযোগ পান নেইমার। কিন্তু তার জোরালো শট পোস্টে বাধা পেলে তেতো স্বাদ নিয়ে ফিরতে হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।
আগামী ১২ মার্চ ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ফিরতি লেগের লড়াইয়ে নামবে পিএসজি।
আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।