নিজেদের মাঠে, চেনা দর্শকের সামনে খেলা। গ্রুপ পর্বে পাওয়া দুই প্রতিপক্ষকেও বয়সভিত্তিকের অন্য পর্যায়ে বড় ব্যবধানে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে মেয়েদের। সব মিলিয়ে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড কাপে বাংলাদেশ অন্যতম ফেভারিট। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে দিচ্ছেন টুর্নামেন্টটি স্মরণীয় করে রাখার প্রতিশ্রুতি।
Published : 20 Apr 2019, 06:33 PM
আগামী সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে ছয় দলের এই প্রতিযোগিতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতার নামানুসারে প্রথমবারের মতো হওয়া এই প্রতিযোগিতার বাকি পাঁচ দল মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, লাওস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
‘এ’ গ্রুপের তিন দলের মধ্যে মঙ্গোলিয়া ও তাজিকিস্তান এরই মধ্যে চলে এসেছে ঢাকায়। লাওস দল রোববার আসবে। বাংলাদেশের ‘বি’ গ্রুপের দল আরব আমিরাত চলে এসেছে। কিরগিজস্তান দলও রোববার আসবে বলে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জানান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
গত মার্চে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে আসা খেলোয়াড়দের মধ্যে বয়সের কারণে কেবল সাবিনা খাতুন নেই ২০ জনের দলে। সাফ শেষে সাত দিনের বিশ্রামের পর মেয়েরা অনুশীলনের মধ্যে থাকায় আশাবাদী রব্বানী।
“মেয়েরা ধারাবাহিকভাবে অনুশীলনের মধ্যেই আছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চের মধ্যে আমরা দুটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতাগুলো এই টুর্নামেন্টে অনেক কাজে আসবে। সেখানে আমাদের যে ভুল ত্রুটিগুলো ছিলো, সেগুলো নিয়ে কাজ করা হয়েছে।”
“আমরা প্রথমত গ্রুপের ম্যাচগুলোতে জিততে চাই। এরপর সেমি-ফাইনাল জিতে ফাইনালে খেলতে চাই। টুর্নামেন্টটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঘরের ট্রফি ঘরেই রাখতে চাই আমরা।”
“আমরা প্রতি ম্যাচেই জয়ের জন্য মাঠে নামব। প্রথম ম্যাচটি অবশ্যই জয় দিয়ে শুরু করতে চাই। মাঠে খেলার ধরন দেখে কৌশল নির্ধারণ করবো। মেয়েরা জয়ের জন্য প্রস্তুত আছে।”
কোচের সুরে সুর মিলিয়েছেন অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী, “আমাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। দলের সবাই সুস্থ আছে। নিজেদের ঘরে ট্রফি ধরে রাখতে চাই আমরা।”