ফুটবলারদের শারীরিক শক্তি বাড়াতে হবে: ফিটনেস কোচ

কাতারে দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে দেশে ফেরার পর জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে জানালেন সন্তুষ্টির কথা। সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট পল ওয়াটকিসও কাতারের প্রস্তুতিতে খুশি। তবে ফিটনেস কোচ লিন্ডসে রজার পল ডেভিস খেলোয়াড়দের শারীরিক শক্তি ঘাটতির বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে এ দিকটার উন্নতিতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলছেন।

আগামী অগাস্টে জাকার্তা-পালেমবাংয়ে শুরু হতে যাওয়া এশিয়ান গেমসে ফুটবল ইভেন্টের গ্রুপ পর্বের খেলা শুরু হবে ১৪ অগাস্ট থেকে। ২৪টি দল ছয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। 'বি' গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে কাতার, উজবেকিস্তান ও থাইল্যান্ড। আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকায় বসবে সাফ ‍ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ।

এ দুটি টুর্নামেন্টের জন্য দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে কাতার থেকে ফেরা বাংলাদেশ আগামী ৩০ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়া যাবে। সেখানেও অনুশীলনের সঙ্গে স্থানীয় ক্লাবের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথাও রয়েছে ডের দলের। রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সংবাদ সম্মেলনে কাতারের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন কোচেরা।

কাতারে দল মেসাইমির ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচে ১-১ ড্র করে বাংলাদেশ। দল আরও গোল পেতে পারত উল্লেখ করে কোচ ডে জানালেন প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টির কথা।

“কাতারে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমাদের অনুশীলন করতে হয়েছে। বিকালে দুইটা সেশন অনুশীলন করেছি। মূলত ফিটনেস নিয়ে কাজ হয়েছে সেখানে। এবার আমরা কোরিয়ায় যাচ্ছি। সেখানে খেলোয়াড়রা আরও ম্যাচ টাইম পাবে। কাতারে ৪৫ মিনিট করে ওরা খেলেছে। ট্রেনিংয়ে ওদের যা যা দেখিয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে ওরা ভালোভাবেই তা করতে পেরেছে।”

“এশিয়ান গেমসে মূলত তরুণদের দেখবো। সেই অভিজ্ঞতা তারা সাফ কাজে লাগাবে। সাফে সিনিয়ররাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কাতারে ৪৫ মিনিটে আমি ওদের সামর্থ্য দেখেছি। আমার বিশ্বাস ওরা ৯০ মিনিটও পারফর্ম করতে পারবে।”

প্রস্তুতি ম্যাচে শেষ মুহূর্তে শাখাওয়াত হোসেন রনির গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে দল আরও দুই-তিনটা গোল পেতে পারত বলে মনে করেন ডে। সহকারী কোচ ওয়াটকিসও জানালেন প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সে খুশি তিনি।

“কাতারে ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমরা খুশিতে। আগামী মঙ্গলবার বিকেএসপি থেকে দ্বিতীয় পর্বের যে ক্যাম্প শুরু হবে; সেখানে টেকটিক্যাল বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া হবে।”

খেলোয়াড়দের শারীরিক সামর্থ্যের ঘাটতির কথা উল্লেখ করে এ দিকটায় উন্নতির তাগিদ দেন ফিটনেস কোচ ডেভিস।

“কাতারে কঠিন কন্ডিশনের মধ্যে ফিটনেস বাড়ানোর প্রাথমিক কাজটা আমরা সেরে এসেছি। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ‘স্ট্রেন্থ’ কম, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে। মাংসপেশিতে শক্তি বাড়ানো নিয়েই আমাদের বেশি কাজ করতে হবে এখন।”