রোমাঞ্চ নিয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় সাইফ-টিসি স্পোর্টস

সাইফ স্পোর্টিংয়ের মতো টিসি স্পোর্টসও এই প্রথম এএফসি কাপের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে খেলবে। দুটি দলের মধ্যেই কাজ করছে আলাদা রোমাঞ্চ। ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের কোচও জানালেন জয়ে শুরুর লক্ষ্য তাদের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2018, 03:34 PM
Updated : 22 Jan 2018, 03:34 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার স্থানীয় সময় তিনটায় প্রিলিমিনারি রাউন্ডের প্রথম পর্বে মুখোমুখি হবে দুই দল। নিজেদের মাঠ, চেনা সমর্থকের সামনে খেলার বাড়তি সুবিধা থাকছে সাইফের। অবশ্য মালদ্বীপের দলটির কাছেও বাংলাদেশের মাঠ, দর্শক একেবারে অচেনা নয়। গত বছর চট্টগ্রামে হওয়া শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছিল তারা।

চতুর্থ স্থানে থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছে সাইফ। অন্যদিকে টিসি স্পোর্টস মালদ্বীপের লিগে এবং প্রেসিডেন্টস কাপে হয়েছে রানার্সআপ। তবে নিজ দেশের এবং শেখ কামাল কাপের পরিসংখ্যান নিয়ে খুব বেশি ভাবতে রাজি নন দলটির কোচ মোহামেদ নাজিম।

“আবারও বাংলাদেশে আসতে পেরে ভালো লাগছে। আমি মনে করি, ফুটবলে ইতিহাস ‍খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। এখানে ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ। তবে হ্যাঁ, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে পারলে অবশ্যই আমাদের ভালো লাগবে। নিজের দলকে আমি ফেভারিট মনে করি এবং কালকের ম্যাচ জিততে আত্মবিশ্বাসী।”

প্রিলিমিনারি রাউন্ডের জন্য চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে সাত জন খেলোয়াড় নিয়ে শক্তি বাড়িয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। এ কারণে নিজামের বাড়তি সমীহ পাচ্ছে স্বাগতিকরা।

“সাইফ তরুণ একটি দল, সম্ভবত এই পর্যায়ে তারা নতুন। আমরাও নতুন। আমাদের সামনে অভিজ্ঞতা অর্জনের ভালো সুযোগ আছে। জেনেছি, এই ম্যাচের জন্য সাইফ অভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড়ও নিয়েছে।”

লিগে গোলরক্ষকের সমস্যায় ভুগেছে সাইফ। চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে আশরাফুল ইসলাম রানা আসায় দুর্ভাবনা কিছুটা কমেছে। গত লিগে দেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ আট গোল করা তৌহিদুল আলম সবুজ আসার কথা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত দলের সঙ্গে যোগ দেননি। তবে সাইফ কোচ রায়ান নর্থমোর দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।

“বিকেএসপিতে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। ধারে কিছু মানসম্পন্ন খেলোয়াড় পাওয়াটাও দলের জন্য সুবিধার কিন্তু এই খেলোয়াড়দের দ্রুত সমন্বয় করাটাও চ্যালেঞ্জিং। প্রস্তুতির জন্য সময় কম ছিল কিন্তু স্থানীয় খেলোয়াড়রা একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত থাকায় দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে। দলে বিদেশি যারা আছে, তারাও এখানকার পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত।”

লিগ শেষ করেই স্বাধীনতা কাপ  খেলতে হচ্ছে জামাল-জুয়েলদের। শিষ্যদের টানা খেলার ক্লান্তি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত সাইফ কোচ জয়ের লক্ষ্য জানালেও প্রতিপক্ষকে সমীহ করতে ভোলেননি।

“তারা প্রতিআক্রমণ নির্ভর খেলে এবং তাদের মাঝমাঠও বেশ জমাট। আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে এ ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে হবে এবং দলের সাফল্যের প্রশ্নে আমি শতভাগ আশাবাদী।”

দুই অধিনায়কও দিয়েছেন দারুণ লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি। সাইফ অধিনায়ক জামাল ভূইয়া প্রস্তুতি ও দল নিয়ে সন্তুষ্ট।

“আগামীকালের ম্যাচটা শুধু আমাদের জন্য নয়, বাংলাদেশের জন্যই মর্যাদার। আমাদের অনেক খেলোয়াড় আছে; প্রস্তুতিও ভালো হয়েছে।”

টিসি স্পোর্টস অধিনায়ক ফারাহ আহমেদ ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে খেলার আগে জয় নিয়ে ফিরতে প্রত্যয়ী।

“দর্শকদের বিনোদন দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ফিরতি লেগের আগে জয় চাই আমাদের। লড়াইয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত।”