ভারত ম্যাচে ভুল শুধরে নেওয়ার প্রত্যয় ছিল। কিন্তু মাঠের খেলায় তার প্রতিফলন দেখা গেল ছিটেফোটা। তাই শক্তিশালী ভারতের কাছেও এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
Published : 13 Oct 2017, 07:35 PM
মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশের হার ৭-০ গোলে। পাকিস্তানের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একই ব্যবধানে হেরেছিল মাহবুব হারুনের দল।
জাপানকে ৫-১ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করা ভারত টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে। একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় পাকিস্তান। ১ পয়েন্ট নিয়ে জাপান তৃতীয়। কোনো পয়েন্ট না পাওয়া বাংলাদেশ তলানিতে।
প্রথম কোয়ার্টারেই তিন গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় মিনিটে সুনীল সৌমারপ্রিতের হিট ফেরান আবু নিপ্পন। সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় প্রতিযোগিতার দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ডান দিক থেকে সতীর্থের পুশে গুরজান্ত সিংয়ের ফ্লিকে পরাস্ত গোলরক্ষক।
দশম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় ভারত। সার্কেলের ভেতর আকাশদিপকে আটকাতে শুয়ে পড়েন গোলরক্ষক নিপ্পন। তাকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আকাশদিপই। একটু পরে ললিত উপাধ্যায় স্কোরলাইন ৩-০ করেন।
২০তম মিনিটে আরও কোণঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ। বাঁ দিক থেকে গুরজান্তের রিভার্স হিটে অমিত রোহিদাসের প্লেসিং ঠিকানা খুঁজে পায়। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের আগ মুহূর্তে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে ব্যবধান আরও বাড়ান হারমানপ্রিত সিং।
তৃতীয় কোয়ার্টারে ভারতকে আটকে রাখতে সক্ষম হয় জিমিরা। এ অংশে কোনো গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরুতে পেনাল্টি কর্নার থেকে রামানদিপ সিং ও হারমানপ্রিত ব্যবধান আরও বাড়ান।
শুক্রবার প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ২-২ ড্র করে জাপান।
আগামী রোববার গ্রুপের শেষ ম্যাচে জাপানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
বড় ব্যবধানে হারলেও নিজেদের খেলায় উন্নতি দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জিমি।
“আমি মনে করি, প্রথম ম্যাচে আমরা খেলা শুরুর আগেই হেরে বসেছিলাম কিন্তু আজ আমরা ম্যাচ জুড়ে লড়াই করেছি। যদি তা না হত, তাহলে আমরা আরও গোল খেতাম। ভারতের খেলোয়াড়রা আমাদের চেয়ে অনেক অনেক ভালো এবং সে কারণেই আমরা ওই গোলগুলো খেয়েছি।”
“আপনারা বলতে পারেন হারের ব্যবধান অনেক বেশি কিন্তু আসলেই আমরা কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। একটা বিষয় আমি বলতে চাই-১৪টা পেনাল্টি কর্নার থেকে আমরা মাত্র দুটি গোল খেয়েছি, যেটা আমি মনে করি আমাদের প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক।”