মোহামেডানকে হারিয়ে রজনীকে বিদায় দিল শেখ রাসেল
ক্রীড়া প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 15 Dec 2016 08:16 PM BdST Updated: 15 Dec 2016 11:57 PM BdST
শেখ রাসেল ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটি হয়ে উঠেছিল রজনী কান্ত বর্মনের বিদায়ী ম্যাচ। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নেমেছিলেন এই ডিফেন্ডার। ৩৭ বছর বয়সে এসে রক্ষণ সামলালেন আগের মতোই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠ ছাড়লেন রজনী; শেষ পর্যন্ত সতীর্থরাও তাকে উপহার দিল ২-০ গোলের জয়।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শুরু থেকে মোহামেডানের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে শেখ রাসেল। তৃতীয় মিনিটে ইকাঙ্গা ব্যর্থ হলেও দুই মিনিট পর দলকে এগিয়ে নেন শাখাওয়াত হোসেন রনি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় শেখ রাসেল। ডি বক্সের মধ্যে ইয়াইয়া সি রনিকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন জামাল ভূইয়া।

বিরতির ফাঁকে হলো রজনীর মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা। ১৯৯৪ সালে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগ শুরু পর ১৯৯৬ সালে তিনি যোগ দেন মোহামেডানে। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আবাহনী লিমিটেড ঘুরে যোগ দেন শেখ রাসেলে। ২০১৩-১৪ মৌসুম পর্যন্ত শেখ রাসেলে খেলার পর আর মাঠে নামেননি। সর্বশেষ খেলা দলটিতে রজনী ফেরেন ট্রেনার হয়ে।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলা রজনী অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। কার্ডের কারণে ১৯৯৯ সালের সাফের ফাইনালে খেলতে পারেননি। বিদায় বেলায় রজনী জানালেন কোনো কিছু নিয়ে আক্ষেপ নেই তার; ফুটবল থেকে মুঠোভরে পেয়েছেন তিনি।
“২০১৩-১৪ মৌসুমে খেলা ছেলেছিলাম। আমার সৌভাগ্য যে, এতদিন পর মাঠে ফিরলাম, মাঠ থেকে বিদায় নেওয়াটা আমার জন্য গর্বের। দেশবাসী, আপনাদের, সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে মানিক ভাই (শেখ রাসেল কোচ) ও শেখ রাসেলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।”

“ফুটবল থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। আমি আশা করি, আমার মতো অনেক খেলোয়াড় উঠে আসুক, ফুটবলকে এগিয়ে নিক। সবাইকে বলব, নিজের জন্য খেলুক, নিজের জন্য খেললেই সেটা দেশেরও কাজে লাগে। ফুটবল থেকে যেহেতু অনেক কিছু পেয়েছি, আশা করি ফুটবলের সঙ্গে থাকব।”
বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে নাবীব নেওয়াজ জীবনের জোড়া গোলে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে ৩-২ ব্যবধানে হারায় আবাহনী লিমিটেড। জয়ী দলের অপর গোলদাতা জুয়েল রানা।
সর্বাধিক পঠিত
- শেবাগ ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশের সাবেকরা
- বার্সা কোচ কুমানের চাওয়া রিয়ালের জয়!
- ঘরে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ, পাশে ‘সুইসাইড নোট’
- পান্তের দিকে ‘তাকিয়ে’ গিলক্রিস্ট
- ফাইনালে বার্সার প্রতিপক্ষ বিলবাও
- ভারতে ‘প্রেম করায়’ বাবার হাতে মেয়ের শিরশ্ছেদ
- কোর্তোয়া বনাম ওবলাক: লড়াইটা তাদেরও
- দলের ওপর চাপ কমাতে বললেন মাশরাফি
- ১ হাজার হবে অ্যান্ডারসনের?
- ‘সব সময়ের সেরাদের একজন হবে পান্ত’