লিওনেল মেসি, নেইমার আর লুইস সুয়ারেসের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো হলে প্রতিপক্ষের কি হাল হয় তা টিভি দেখে আগে ধারণা পেলেও এবার নিজেদের মাঠে টের পেল লেগানেস। লা লিগায় প্রথমবারের মতো উঠে আসা দলটিকে হেসেখেলেই হারাল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
Published : 17 Sep 2016, 06:50 PM
৫-১ গোলের এই জয়ে জোড়া গোল করেন মেসি। এমএসএন ত্রয়ীর অন্য দুই জন লক্ষ্যভেদ করেন একবার করে।
লা লিগায় এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে খেলেন আক্রমণভাগের ত্রয়ী মেসি, নেইমার ও সুয়ারেস। কিন্তু শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টায় কড়া রোদের মধ্যে খেলা শুরুর পর বার্সেলোনাকে যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রথম ১০ মিনিট এলোমেলো খেলার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লুইস এনরিকের দল।
চতুদর্শ মিনিটে সুয়ারেসের বাড়ানো বল ধরে বাঁ দিক থেকে নেইমার নীচু ক্রস দিয়েছিলেন মেসিকে। আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ডের শট এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে ফিরে।
২০তম মিনিটে নেইমার সহজ একটা সুযোগ নষ্ট করেন। স্বদেশী রাফিনিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে খুব কাছ থেকেও ঠিকমতো ভলি মারতে পারেননি ব্রাজিল অধিনায়ক।
৩১তম মিনিটে সুয়ারেসের গোলটার পুরো কৃতিত্ব আসলে মেসির। দুর্দান্ত গতিতে একজনকে ছিটকে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আরেকজনকে ফাঁকি দিয়ে বলটা তিনি তুলে দেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের পায়ে।
৪৪তম মিনিটে গোল পেয়ে যান এমএসএন ত্রয়ীর তৃতীয় জন নেইমার। এবার মেসির বাড়ানো বল ধরে ব্রাজিল তারকাকে বিনা বাধায় জালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন সুয়ারেস।
৫৯তম মিনিটে খুব কাছ থেকে শট ঠেকিয়ে মেসিকে হ্যাটট্রিক পেতে দেননি গোলরক্ষক।
৬৪তম মিনিটে বার্সেলোনার পঞ্চম গোলটি করে ম্যাচে একটু যেন নতুনত্ব আনেন রাফিনিয়া। সুয়ারেসকে আগেই উঠিয়ে নিয়েছিলেন এনরিকে। পাশে থাকা মেসিকে পাস না দিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলের মিডফিল্ডার বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে গোলরক্ষকে পরাস্ত করেন।
দুর্দান্ত বাঁকানো এক ফ্রি-কিকে ৮০তম মিনিটে একটি গোল শোধ করেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার গাব্রিয়েল।
যোগ করা সময়ে ফ্রি-কিক একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হ্যাটট্রিকটা আর পাওয়া হয়নি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসির।
এই জয়ে চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষে উঠেছে বার্সেলোনা।
এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্টও ৯, তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তারা।