ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের মতে, জয় তাদের মুঠোয় ছিল।
Published : 10 Dec 2022, 11:20 AM
একের পর এক আক্রমণ করেও যখন মিলছিল না গোল, অতিরিক্ত সময় নেইমার স্বস্তি এনে দেন ব্রাজিল শিবিরে। কিন্তু সেই স্বস্তি উবে যায় দ্রুতই। ক্রোয়েশিয়া গোল করে ম্যাচ নিয়ে যায় টাইব্রেকারে। সেখানে পেরে ওঠেনি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। হাতের মুঠোয় থাকা জয় এভাবে হাতছাড়া করে যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন দলটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কাসেমিরো।
গোলশূন্য ৯০ মিনিটের পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৬তম মিনিটে নেইমার রেকর্ড গড়া গোলে এগিয়ে নেন ব্রাজিলকে। সে সময় শেষ চারের স্বপ্ন দেখারই কথা দলটির। কিন্তু ১১৭তম মিনিটে সমতা টানেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা ব্রুনো পেতকোভিচ। এরপর টাইব্রেকারে লাতিন আমেরিকানদের সঙ্গী হয় ৪-২ গোলের হতাশাজনক হার।
প্রথম কোয়ার্টার-ফাইনালে শুক্রবার ১-১ সমতার পর পেনাল্টি শুটআউটে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম শটটি নেন রদ্রিগো। রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ডের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন দমিনিক লিভাকভিচ। চতুর্থ শট মার্কিনিয়োস মারেন বারে। চার শটের চারটিই জালে পাঠিয়ে জয়োল্লাস করে ক্রোয়েশিয়া।
এনিয়ে তৃতীয় ও টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিল ক্রোয়াটরা। আর টানা পাঁচ আসরে নকআউট পর্বে ইউরোপের দলের কাছে হারে ২০০২ সালে সবশেষ শিরোপা জেতা ব্রাজিল।
শেষ আটের বৈতরণী প্রায় পারই করে ফেলেছিল ব্রাজিল। কিন্তু এভাবেও যে হারতে হবে, মানতেই পারছেন না কাসেমিরো। ম্যাচের পর তিনি বললেন, পুরো দলই এখন হতাশায় আচ্ছন্ন।
“সব হারই কষ্টদায়ক। বিশেষ করে, যখন একটি লক্ষ্য থাকে, একটি স্বপ্ন থাকে, চার বছর ধরে ওই (সাফল্যের) মুহূর্তটার জন্য কাজ করা হয়। এই মুহূর্তে শব্দ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।”
“…আমরা ব্যথিত, দলের সবাই নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েছে। আমরা হতাশ, মূলত হারের ধরনের জন্য। আমাদের হাতেই ছিল ম্যাচ, কিন্তু ধরে রাখতে পারিনি। এটা খুবই কঠিন মুহূর্ত। এখন মনকে শান্ত রাখতে হবে। জীবন চলতেই থাকে।”