স্প্যানিশ ফুটবল
Published : 02 May 2025, 07:01 PM
চমক জাগানো সব পারফরম্যান্সে সমসাময়িকদের ছাড়িয়ে সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় চলে এসেছেন লামিনে ইয়ামাল। মহাতারকা লিওনেল মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে তরুণ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের নাম। এমন অবস্থায় ১৭ বয়সী একজনের জন্য আনন্দের জোয়ারে ভেসে গিয়ে দিক হারানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে ইয়ামালকে কাছ থেকে দেখায় ভাবনার খুব বেশি কিছু দেখছেন বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক।
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৩-৩ ড্রয়ের পর আরেক দফা ফুটবল বিশ্ব মেতেছিল ইয়ামালের বন্দনায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ওই প্রথম লেগে গোল করে রেকর্ড গড়েন এই তরুণ। ইউরোপ সেরার মঞ্চে সবচেয়ে কম বয়সে শেষ চারের ম্যাচে গোলের কীর্তি এখন তার।
এমন আরও অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন ১৭ বছর বয়সেই বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে একশ ম্যাচ খেলে ফেলা ইয়ামাল। স্পেনের হয়েও তিনি জিতেছেন ইউরো, সেই প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়দেরও একজন ছিলেন তিনি।
এমন একজন যেন দিক না হারায়, সেদিকে যে কোনো কোচের নজর থাকাই স্বাভাবিক। আছে ফ্লিকেরও। তবে ইয়ামালের পেশাদার মনোভাবের কারণে খুব একটা চিন্তিতও নন তিনি। শনিবার লা লিগায় রেয়াল ভাইয়াদলিদের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন জার্মান কোচ বললেন, নিজের গুরুত্ব বোঝেন ইয়ামাল।
“এই পর্যায়ে খেলার সামর্থ্য থাকলে, কীভাবে নিজেকে সামলে রাখতে হয় সেটাও জানতে হবে। কেবল একটা ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করার ব্যাপার নয়, সে এটাও জানে।”
“সে জানে, কেবল প্রতিভা দিয়ে হবে না, পরিশ্রমও প্রয়োজন হবে। রোনালদো বা মেসির পর্যায়ে উঠতে হলে, তাকে শান্ত থেকে পারফর্ম করে যেতে হবে।”
ইয়ামালের উন্নতির ধারায় খুব খুশি বার্সেলোনা কোচ এবং তরুণ উইঙ্গারের কাছে তার প্রত্যাশাও আকাশ ছোঁয়া।
“১৭ বছর বয়সেই সে যে পর্যায়ে উঠেছে, এতে আমরা খুবই খুশি। তবে এই মান ধরে রাখতে তার কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে এবং এমনকি আরও উন্নতিও করতে হবে। সে এখানেই থামবে না।”
আক্রমণভাগে ইয়ামাল, রাফিনিয়া, রবের্ত লেভানদোভস্কি, দানি ওলমোদের নৈপুণ্যে চলতি মৌসুমে প্রচুর গোল করছে বার্সেলোনা। তবে অনেক গোল হজমও করছে কাতালান ক্লাবটি। এ নিয়ে কি একটু হলেও উদ্বিগ্ন ফ্লিক?
“অনেকে ভাবেন, আমাদের খেলার ধরন ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি জার্মানিতেও আমি এই শিরোনাম দেখেছি। যদি অন্য দলগুলোর দিকে তাকান, উদাহরণ হিসেবে রেয়াল মাদ্রিদের কথাই বলি, আমার মনে হয় ওরাও প্রচুর গোল হজম করে। সেদিক থেকে খুব আলাদা কিছু নয়।”
“তবে আমরা অনেক বেশি গোল করি। মনে হতে পারে, আমাদের খেলার ধরন ঝুঁকিপূর্ণ, তবে এই ধরন আমি ভালোবাসি। দল হিসেবে আমাদের আরও সুসংগঠিত হয়ে খেলতে হবে।”
ইন্টারের বিপক্ষে হজম করা তিন গোলের উৎসই ছিল ‘সেট পিস।’ এর জন্য প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের উচ্চতাকে অজুহাত হিসেবে না দেখিয়ে রক্ষণে উন্নতির তাগিদ দিলেন ফ্লিক।
“আমি মনে করি, আমরা আরও অনেক ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে পারি। এটা উচ্চতার ব্যাপার নয়, কীভাবে কাভার করা হচ্ছে, ওয়ান-অন-ওয়ান পজিশনে কেমন পারফরম্যান্স হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।”
“ইন্টারও গোল হজম করেছে এবং তাদের কয়েকজন দীর্ঘদেহী খেলোয়াড় আছে। আমি মনে করি না, এটা উচ্চতার ওপর নির্ভর করে। তবে কর্নারের সময় সতর্ক থাকা জরুরি। আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড় এবং প্রত্যেক ভুলের দায় নিজেদেরই নিতে হবে।”