চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
পেনাল্টি মিস করার পর নিজ দলের ফুটবলারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন আতালান্তার কোচ জান পিয়েরো গাসপেরিনি।
Published : 19 Feb 2025, 03:29 PM
দুই লেগ মিলিয়ে আতালান্তা হেরে গেছে ৫-২ গোলে। দ্বিতীয় লেগের ব্যবধানও পরিষ্কার। তবে ম্যাচের পর কোচের সবটুকু ক্ষোভ গিয়ে পড়ল যেন আদেমোলা লুকমানের ওপর। দ্বিতীয় লেগে একটি গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন পেনাল্টিতে গোল করতে। আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার এই নাইজেরিয়ান তারকাকে ম্যাচের পর স্রেফ ধুয়ে দিলেন কোচ জান পিয়েরো গাসপেরিনি।
ফুটবল ম্যাচে পেনাল্টিতে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা অহরহ দেখা যায়। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিশ্বের সেরা তারকাদেরও পেনাল্টি মিস করার নজির আছে অনেক। এসব ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই তাদের আড়াল করেন কোচরা, তাদের পাশে থাকেন কিংবা বর্ম হয়ে রক্ষা করেন তাদেরকে। কিন্তু গাসপেরিনি জন্ম দিলেন প্রায় নজিরবিহীন ঘটনার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের এই লড়াইয়ে ফেভারিট আতালান্তাকে চমকে দেয় ক্লাব ব্রুজ। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জয়ী বেলজিয়ান ক্লাবটি মঙ্গলবার আতালান্তার মাঠে জিতে যায় ৩-১ গোলে।
প্রথমার্ধেই এ দিন তিন গোলে এগিয়ে যায় ক্লাব ব্রুজ। কদিন আগে চোট কাটিয়ে ফেরা লুকমানকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামান আতালান্তা কোচ। ৩৫ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল করে দলকে আশা দেখান ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। কিন্তু ১৪ মিনিট পরে তার পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলকিপার।
আতালান্তা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে লুকমানকে একহাত নেন গাসপেরিনি। কোচের মতে, পেনাল্টি নেওয়া উচিত ছিল শার্লে দে কাটলারা কিংবা মাতেও রেতিগির মধ্যে কোনো একজনের।
“লুকমানের এই পেনাল্টি নেওয়ার কথা নয়। আমার দেখা সবচেয়ে বাজে পেনাল্টি শট নেওয়া ফুটবলারদের একজন সে।”
“খোলাখুলিই বলি, এমনকি অনুশীলনেও তার রেকর্ড জঘন্য। খুব কমই সে পেনাল্টি কাজে লাগাতে পারে। রেতেগি ও ডে কেটেলিয়েরি ছিল সেখানে। কিন্তু লুকমান একটি গোল করার পর উত্তেজনা বশে পেনাল্টি নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়। এই ধরনের আচরণকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।”
ম্যাচের শেষ দিকে থ্রো-ইন নিয়ে ঝামেলা পাকিয়ে ক্লাব ব্রুজের মাক্মিম যে কায়পারকে সজোরে ধাক্কা মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আতালান্তার অধিনায়ক রাফায়েল তলই। এই ঘটনায় অধিনায়ককেও কাঠগড়ায় তুললেন কোচ।
“এটা ছিল খুবই কুৎসিত একটি ঘটনা। কখনোই মেজাজ হারানো উচিত নয় আমাদের।”
“রেয়াল মাদ্রিদ, আর্সেনাল ও বার্সেলোনার মতো দলের বিপক্ষে দারুণ খেলার পর আতালান্তার অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে মাথা উঁচু করে মর্যাদার সঙ্গে বিদায় নেওয়া উচিত।”