ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
স্পেন দলের যে কারো হাতে এই মর্যাদার পুরস্কার উঠলেই খুশি হবেন সদ্য শেষ হওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাওয়া এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
Published : 15 Jul 2024, 08:19 PM
১২ বছর পর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট ফিরে পাওয়ার পর রদ্রি এবার ব্যালন দ’র নিয়ে তুললেন দাবি। ইউরোর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত এই মিডফিল্ডার মনে করেন, এবারের ব্যালন দ’র স্প্যানিশদের প্রাপ্য।
বার্লিনের ফাইনালে রোববার রাতে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ফিরে পায় স্পেন। গতিময় ও নান্দনিক ফুটবলের পসরা মেলে ধরে টানা সাত জয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল।
শিরোপা লড়াইয়ে দুর্বার স্পেনকে তেমন একটা দুর্ভাবনায় ফেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। নিকো উইলিয়ামস স্প্যানিশদের এগিয়ে নেওয়ার পর এক পাল্টা আক্রমণে কোল পালমার সমতায় ফেরান ইংলিশদের। কিন্তু শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। স্পেনও ভাসে রেকর্ড চতুর্থ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের উচ্ছ্বাসে।
বড় মঞ্চে এর আগেও সাফল্য পেয়েছে স্পেন, কিন্তু সেই ১৯৬০ সালে বার্সেলোনা গ্রেট লুইস সুয়ারেসের পর আর কোনো স্প্যানিয়ার্ডের হাতে ব্যালন দ’র ওঠেনি! সুয়ারেসদের সময় অবশ্য এই স্বীকৃতি দেওয়া হতো শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দের।
শাভি এর্নান্দেস, আন্দ্রেয়াস ইনিয়েস্তাদের নিয়ে গড়া স্পেনের ‘সোনালি প্রজন্মও’ মুঠোভরে সাফল্য পেয়েছেন। ব্যাক টু ব্যাক ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো জিতেছিলেন; মাঝে ২০১০ সালে দেশকে এনে দিয়েছিলেন প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের অনির্বচনীয় স্বাদ, কিন্তু ওই দলের কেউই পাননি ব্যলন দ’র।
এবারের ব্যালন দ’রের দাবিদার হিসেবে রেয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউসের নাম শোনা যাচ্ছে। উঁকি দিচ্ছে ইংলিশ ফরোয়ার্ড জুড বেলিংহ্যামের নামও। তবে বার্লিনের ফাইনালে বেলিংহ্যাম, হ্যারি কেইনের মতো তারকা ঠাসা দলকে প্রায় পুরোটা সময় চাপে রেখেই ট্রফি উঁচিয়ে ধরে স্পেন।
স্পেনের ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল জিতে নিয়েছেন টুর্নামেন্টের উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ফাইনালে নিকো উইলিয়ামসের প্রথম গোলের সুর বেঁধে দেন তিনি। দানি ওলমো, দানি কারভাহালও ছড়িয়েছেন আলো।
টুর্নামেন্ট জুড়েই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ, আক্রমণের তাল-লয় ঠিক করে দেওয়ার কাজটি সূচারুভাবে সেরেছেন রদ্রি। স্পেন কোচ দে লা ফুয়েন্তে তো এই মিডফিল্ডারের হাতে এখনই ব্যালন দ’র তুলে দেওয়ার জোরাল দাবি তুলেছেন।
নিজের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলার চেয়ে বরং রদ্রি বললেন আরও বড় পরিসরে। স্পেনের যে কেউ পেলেই খুশি হবেন ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার।
“একটা ব্যালন দ’র জয়ী স্প্যানিশ ফুটবলের প্রাপ্য। সততার সাথে বলছি, একজন স্প্যানিয়ার্ড এটা জিতলেই আমার ভালো লাগবে। কে জিতল, সেটা বিষয় নয়, কিন্তু জিতলে সেটা দারুণ বিষয় হবে।”
“আমি শুনেছি এটা (রেয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের কারো জয়ের সুযোগ আছে)। দানি কারভাহালেরও এটা প্রাপ্য। ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমি যেটা করছি এবং যে স্বীকৃতি পাচ্ছি, তা নিয়ে গর্বিত। কিন্তু অন্যকে তো সেটার মুল্যায়ন করতে হবে।”