স্প্যানিশ ফুটবল
ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করলেও তাদের দুর্দশায় হৃদয়ে দহন অনুভব করছেন বার্সেলোনার ফেররান তরেস।
Published : 07 Feb 2025, 01:04 PM
হ্যাটট্রিক করার আনন্দ তো আছেই। সেখানে মিশে আছে পেশাদারিত্বের তৃপ্তি। তবে হৃদয়ে সযতনে রাখা আছে তীব্র ভালোবাসার অনুভূতি। সেই আবেগের তারে টোকা লেগেছে ফেররান তরেসের। ভালেন্সিয়ার জালে তিন গোল দেওয়ার পর এই ক্লাবের জন্যই হাহাকার করছেন তিনি। বার্সেলোনার স্ট্রাইকারের মনে যে বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে ভালেন্সিয়া!
কোপা দেল রের ম্যাচে বৃহস্পতিবার ভালেন্সিয়ার মাঠে প্রথম ৩০ মিনিটেই হ্যাটট্রিক করেন তরেস। পরে গোল করেন ফের্মিন লোপেস ও লামিনে ইয়ামাল। ৫-০ গোলের জয়ে সেমি-ফাইনালে পৌঁছে যায় বার্সেলোনা।
কয়েক দিন আগে লা লিগায় ভালেন্সিয়াকে ৭ গোলে ভাসিয়েছিল বার্সেলোনা।
ভালেন্সিয়ার এই দুর্দশা শুধু বার্সেলোনার বিপক্ষেই নয়, চলতি মৌসুমে সব মিলিয়েই ধুঁকছে ক্লাবটি। ৬ বারের লা লিগা ও ৮ বারের কোপা দেল রে জয়ী ক্লাব এবার লা লিগায় জিততে পেরেছে ২২ ম্যাচের স্রেফ ৪টিতে। ২০ দলের লিগে এখান তারা ১৯ নম্বরে আছে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে। অথচ অনেক বছর ধরেই তারা স্পেনের ক্লাব ফুটবলের প্রতিষ্ঠিত শক্তি।
ছয় বছর বয়সে ভালেন্সিয়া একাডেমিতেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পা রেখেছিলেন তরেস। পরবর্তী ১৪ বছর এই ক্লাবই ছিল তার ঠিকানা। ১৬ বছর বয়সে ক্লাবের ‘বি’ দলের হয়ে অভিষেক, পরের বছরই মূল দলে। ২০২০ সালে ভালেন্সিয়া ছেড়ে তিনি নাম লেখান ম্যানচেস্টার সিটিতে। পরে ২০২২ সালে স্পেনে ফেরেন বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে।
কাতালান ক্লাবটির হয়ে এখনও ততটা ধারাবাহিক হতে পারেননি তিনি। চোটাঘাতের ধাক্কাও ছিল। ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে এই হ্যাটট্রিক তাকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করবে সামনের পথে।
তবে তার মন খারাপ লাগছে পেছনে ফেলে আসা ক্লাবটির জন্য।
“ভালেন্সিয়াকে আমি সবটুকু শুভ কামনা জানাই। আশা করি, তারা মাথা তুলে দাঁড়াবে, কারণ এখনও তো আমি তাদের একজন ভক্ত।”
“যে ক্লাব আমার জীবন, সেই ক্লাবকে এভাবে ভুগতে দেখাটা কষ্টের। খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তারা। আশা করি, সমর্থকেরা মাঠের বাইরের সবকিছু ভুলে যাবে এবং দলের পাশে দাঁড়াবে, কারণ তাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।”
তরেস তুলে ধরেছেন তার আবেগের জায়গা। তবে কোচের তো আর অতকিছু ভাবার কারণ নেই। ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক।
“ফেররানের পারফম্যান্স সত্যিই ভালো ছিল। ৯ নম্বর হিসেবে গোল করাই মুখ্য ব্যাপার এবং আজকে সে দারুণ খেলেছে।”
“আমি বেশি খুশি সে তিন গোল করায়। এটা অসাধারণ ব্যাপার, কারণ এই মৌসুমটা তার জন্য খুব সহজ ছিল না। চোট থেকে ফিরে এসেছে। তার এই পারফরম্যান্সে আমি খুশি, আজকে সে দারুণ ছিল।”