বাংলাদেশ ফুটবল
Published : 29 Aug 2024, 09:08 PM
‘ক্লোজড ডোরে’ ম্যাচ আয়োজন করলেন হাভিয়ের কাবরেরা। পরিকল্পনার সাথে মানানসইদের বেছে নিয়ে ভুটান সফরের জন্য ২৩ জনের চূড়ান্ত দল দিলেন বাংলাদেশ কোচ। সেখানে নতুন মুখ দুজন- শাকিল আহাদ তপু ও মিরাজুল ইসলাম।
ভুটানের বিপক্ষে আগামী ৫ ও ৮ সেপ্টেম্বর দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে শুক্রবার দেশটির উদ্দেশে উড়াল দেবে দল।
বসুন্ধরা কিংসের প্রাক-মৌসুমের ক্যাম্প আর সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ দলে থাকাদের ছাড়াই ১৪ জনকে নিয়ে গত সোমবার কিংস অ্যারেনায় ক্যাম্প শুরু করেছিলেন কাবরেরা।
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেপাল থেকে বৃহস্পতিবারই দেশে ফিরেছে দল। ওই দল থেকে ভুটান ম্যাচের চূড়ান্ত দলে আছেন মোট চার জন। এদের মধ্যে রাব্বী হোসেন রাহুল ও চন্দন রায় আগেও ডাক পেয়েছিলেন কাবরার দলে। মিরাজুল ও তপু এবারই প্রথম।
সদ্য শেষ হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে মিরাজুল চার গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন। ফাইনালেও জোড়া গোল করেন এই তরুণ। ফাইনালে দলের তৃতীয় গোলটি করেন রাহুল।
সবশেষ গত জুনে ২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। লেবাননের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিল সেই ম্যাচটি। প্রায় তিন মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ড্রয়ের আগে নিজেদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে ভুটানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচের ফল অনুকূলে এলে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হলে বাছাইয়ে তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পাবেন মিতুল-জামালরা।
কাবরেরার বিশ্বাস, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভুটানের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে প্রথম ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হবে দল।
“রাহুল ও চন্দন আগের ক্যাম্পে ছিল। মিরাজুল ও তপু একেবারে নতুন। প্রথম ম্যাচের আগে আমরা পাঁচ থেকে ছয় দিন প্রস্তুতির জন্য সময় পাব। সেখানকার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে দল খুবই দ্রুত মানিয়ে নেবে এবং প্রথম ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হবে।”
বাংলাদেশ দল:
গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন ও পাপ্পু হোসেন।
ডিফেন্ডার: তপু বর্মন, বিশ্বনাথ ঘোষ, সাদউদ্দিন, মেহেদী হাসান, রহমত মিয়া, ইসা ফয়সাল, শাকিল হোসেন ও শাকিল আহাদ তপু।
মিডফিল্ডার: সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা (জুনিয়র), মিরাজুল ইসলাম, চন্দন রায় ও মজিবুর রহমান জনি।
ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, শাহরিয়ার ইমন ও রাব্বী হোসেন রাহুল।