শেখ জামালকে হারিয়ে মোহামেডানের সঙ্গে ব্যবধান বাড়াল কিংস

ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তোর নৈপুণ্যে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে লিগের ফিরতি দেখায়ও হারাল অস্কার ব্রুসনের দল।

সন্ধ্যার দিকে ম্যাচ হওয়ায় তাপপ্রবাহ ছিল কম। দুই দলই মেলে ধরতে পারল স্বাভাবিক ফুটবল। কার্যকারিতা ও আধিপত্যে এগিয়ে থাকল বসুন্ধরা কিংস। দারুণ জয় তুলে নিয়ে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে লিগ টেবিলে ব্যবধান বাড়িয়ে নিল অস্কার ব্রুসনের দল।

কিংস অ্যারেনায় শনিবার শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। প্রথমার্ধেই গোল দুটি করেন দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তো।

প্রথম লেগে শেখ জামালের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছিল কিংস।

দিনের অন্য ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে মোহামেডান গোলশুন্য ড্র করায় তাদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় কিংস। তা কাজে লাগিয়ে ব্যবধান ৭ পয়েন্টে নিয়ে গেছে তারা। ১৩ ম্যাচে শীর্ষে থাকা কিংসের পয়েন্ট ৩৪; দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডানের পয়েন্ট ২৭। লিগের বাকি আর পাঁচ রাউন্ডের খেলা।

ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটি পঞ্চদশ মিনিটে পায় শেখ জামাল। সতীর্থের বাড়ানো থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আবু তোরে কিংসের ডিফেন্ডার তপু বর্মনের চার্জে পড়ে যান। পেনাল্টির আবেদন জানাতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন শেখ জামালের এই ফরোয়ার্ড।

দুই মিনিট পরই এগিয়ে যায় কিংস। রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর বাঁকানো ক্রসে শাকিল হোসেন পা বাড়ালেও নাগাল পাননি, বল চলে যায় দূরের পোস্টে দোরিয়েলতনের পায়ে। একটু লাফিয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

ব্যবধান দ্বিগুণের স্বস্তি নিয়েই বিরতিতে যায় কিংস। রবিনিয়োর কর্নারে এবার হেডে লক্ষ্যভেদ করেন দোরিয়েলতন। চলতি লিগে তার গোল হলো ১১টি। ১৩ গোল নিয়ে তালিকায় শীর্ষে মোহামেডানের সুলেমানে দিয়াবাতে।

টানা তিন জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা কিংস ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। কিন্তু ৫২তম মিনিটে রাকিব হোসেনের জোরাল শট ফেরে পোস্ট কাঁপিয়ে। ৬৯তম মিনিটে রবিনিয়োর ফ্রি কিকে ফ্লিকের চেষ্টা করেছিলেন রাকিব, কিন্তু টাইমিংয়ের গড়বড়িতে সংযোগ করতে পারেননি।

৭৮তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রবিনিয়ো। দোরিয়েলতনের কাটব্যাক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটানোর পর গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে বলে স্পর্শ জোরে হয়ে যায় রবিনিয়োর। বলের নাগাল পরে পেলেও শেষ পর্যন্ত শটই নিতে পারেননি তিনি। একটু পর দোরিয়েলতনের হেড লাফিয়ে আঙুলের টোকায় কর্নার করে দেন গোলকিপার হামিদুর রহমান রিমন।

শেষ দিকে মোহাম্মদ আব্দুল্লার ফ্রি কিকে রাজীব হোসেনের ফ্লিক হেড দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে গেলে ব্যবধান কমানো গোলের দেখাও পায়নি শেখ জামাল। টানা চার ম্যাচ জয়হীন থাকা ২০১৪-১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে সপ্তম স্থানে।