উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
পাকিস্তানের বিপক্ষে আসছে ম্যাচের আগে পিছু ফিরে তাকালেন সাফ জয়ের পর অবসরে যাওয়া সিরাত জাহান স্বপ্না ও সাফ জয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এবারের ম্যাচ নিয়ে জানালেন নিজেদের চাওয়াটা।
Published : 19 Oct 2024, 09:29 AM
পাকিস্তানের বিপক্ষে রোববার যখন খেলতে নামবে বাংলাদেশ, তখন এই ম্যাচে চোখ থাকবে গোলাম রব্বানী ছোটন ও সিরাত জাহান স্বপ্নার। উইমেন’স সাফ জয়ী এই দুজনের কেউই এখন আর নেই দলের সাথে। কোচের পদ ছেড়েছেন রব্বানী। অবসর নিয়েছেন স্বপ্না। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে মুকুট ধরে রাখার অভিযানে থাকা দলের কাছে নিজেদের চাওয়াটা জানিয়ে রাখলেন দুজনেই।
গতবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে গ্রুপ পর্বের দেখায় পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে হওয়া সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সাবিনা খাতুন। জালের দেখা পেয়েছিলেন মনিকা চাকমা, স্বপ্না ও ঋতুপর্না চাকমা। একই ভেন্যুতে রোববার ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
এ মুহূর্তে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পাকিস্তান; চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ৫-২ গোলে হেরে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে তারা। তাই পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই সেমি-ফাইনালের মঞ্চে ওঠা নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাথে আলাপচারিতায় রব্বানী ও স্বপ্না বললেন, স্রেফ জয়ে সন্তুষ্ট হতে রাজি নন তারা।
সতর্ক থেকে শুরুতে গোল করার দিকে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিলেন রব্বানী। গ্রুপ সেরা হওয়ার সমীকরণ টেনে বললেন, গোল ব্যবধান জরুরি। এ প্রসঙ্গে বর্তমানে সেনাবাহিনী নারী ফুটবল দলের কোচ টানলেন ২০১৬ সালের উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের উদাহরণ।
“পাকিস্তানকে গতবার আমরা উড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি যতদূর জানি, ওরা এবারও তেমন কোনো প্রস্তুতি নেয়নি; এই অক্টোবরেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। তাদের তেমন প্রস্তুতি নেই। তবে ওদের বিপক্ষেও সতর্ক থাকতে হবে, গতবারও ইংল্যান্ডে খেলা নাদিয়া… ওরা খেলেছিল আমাদের বিপক্ষে। পাকিস্তান দলীয়ভাবে প্রস্তুতি না নিলেও এরা ইংল্যান্ডে এককভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে। গতবারও কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই ওরা সুযোগ পেয়েছিল, কাজে লাগাতে পারেনি। তো ব্যক্তিগত নৈপুণ্য নির্ভর এই খেলোয়াড়দের সতর্ক থাকতে হবে, গোল হজম করা যাবে না, আগে গোল দিতে হবে।”
“পাকিস্তানের জালে বেশি গোল দিতে হবে; ২০১৬ সালের সাফে আমাদের লক্ষ্য ছিল আফগানিস্তানকে বেশি গোল দেওয়া, ওদেরকে ছয় গোল দেওয়ার কারণেই কিন্তু আমরা ভারতের সাথে ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, পরে ফাইনাল খেলেছিলাম মালদ্বীপকে হারিয়ে। আফগানিস্তানকে ৫ গোল দিয়েছিল ভারত। এবারও আমাদের এই সমীকরণ মাথায় রাখতে হবে।”
প্রথম ম্যাচের হারে পাকিস্তান পিছিয়ে তিন গোলের ব্যবধানে। তাদের বিপক্ষে চার গোল ব্যবধানে জিতলে তখন প্রতিযোগিতার রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সাথে ড্র করলেও গ্রুপ সেরা হবে বাংলাদেশ। তবে দুই বছর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল করা স্বপ্না এতটুকুতে সন্তুষ্ট হতে চান না মোটেও!
“গতবার যেহেতু আমরা পাকিস্তানকে ৬ গোল দিয়েছি, এবার যদি টিমের উন্নতি দেখতে চাই, তাহলে ওদের আরও বেশি গোল দেওয়া উচিত। তাহলে আমরা বুঝতে পারব, আমাদের কতটুকু উন্নতি হয়েছে। কোনো ম্যাচকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভারত ম্যাচও তাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রথম ম্যাচ প্রথম ম্যাচই। পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে আমাদের জয়ের লক্ষ্য হওয়া উচিত। আসলে যেই হোক, প্রতিপক্ষ তো প্রতিপক্ষই। সব ম্যাচই আমাদের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নামা উচিত।”