Published : 13 Jul 2023, 09:36 PM
সম্ভাবনা জাগিয়েও জয় দিয়ে রাঙানো হলো না শুরুটা। তবে তা নিয়ে হতাশ নন মাহবুবুর রহমান লিটু। বাংলাদেশের নতুন কোচ মনে করেন, লম্বা বিরতির জন্য নেপালের বিপক্ষে শতভাগ দিতে পারেননি সাবিনা, কৃষ্ণারা। সময়ের সঙ্গে ঠিকই ছন্দে ফিরবেন তারা।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রীতি ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশের মেয়েরা। সাবিনা খাতুন স্বাগিতকদের এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা ফেরান সাবিত্রা ভান্ডারি।
গত সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুতে নেপালকেই ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সেসময় দলের কোচ ছিলেন গোলাম রব্বানী ছোটন, তার সহকারী ছিলেন লিটু। মাঝের সময়ের ভাঙা-গড়ার খেলায় ছোটনের বিদায়ের পর তিনি ধরেছেন দলের হাল। ডাগআউটে দীর্ঘদিনের সতীর্থ ছোটনকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে এলো লিটুর কণ্ঠ।
“ছোটনের সাথে ২০০৯ থেকে আমি কাজ করছি। অনেক ছোট থেকেই ওর সাথে আমার ভালো বোঝাপড়া, এক সঙ্গে খেলেছি। কোচ হিসেবে আমি ওকে খুব মিস করেছি। সত্যি কথা বলতে, আমি এ ম্যাচের আগেও চেষ্টা করেছি ওর সাথে যোগাযোগ করার, কিন্তু কি কারণে ফোনটা ধরেনি জানি না।”
ছোটনের বিদায়, আঁখি খাতুন, সিরাত জাহান স্বপ্নাদের অবসর, সব মিলিয়ে নানা টানাপোড়েনের মধ্যে থাকা দলকে গুছিয়ে নেওয়াই লিটুর মূল লক্ষ্য। এই পথ চলার শুরুতে জয় এলে কাজটা হয়ে যাবে সহজ। তবে এর জন্য ধৈর্য্য ধরতে আপত্তি নেই তার।
“সব পরিবারের সংকটময় মুহূর্ত থাকে। আপনারা জানেন, আমাদেরও সংকটময় সময় চলছে। মেয়েরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল, আমি চেষ্টা করেছি ওদেরকে এক সুতোয় গেঁথে রাখার। আমার মনে হয়, মেয়েরা ভালো কিছু করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা শতভাগ না হলেও ৯০ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে।”
“মেয়েরা যথেষ্ট ভালো খেলেছে; কেননা, আপনারা জানেন যে, এই দলে অনেকে নেই। আমি অজুহাত দেখানোর জন্য বলছি না, আঁখি, স্বপ্না নেই। মাসুরা পারভীন ও স্বপ্না রানী সরকারের পায়ে ব্যথা ছিল। মাসুরা মোটামুটি কামব্যাক করেছে, কৃষ্ণা কাল পর্যন্ত জানিয়েছিল খেলতে পারবে না, আজকে বলল খেলতে পারবে, ওর আত্মবিশ্বাস দেখে আমি সাহস পেয়েছি যে, ও খেলতে পারবে। কেননা ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, এ কারণে ওকে খেলানোর ঝুঁকিটা নিয়েছি।”