নারী ফুটবল
তারকা খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়াতে পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি আহ্বান জানালেন উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি শিরোপা জয়ী অধিনায়ক।
Published : 17 Nov 2024, 07:17 PM
কাঠমাণ্ডুতে একই হোটেলে থাকার সুবাদে পাকিস্তান, নেপাল, ভারতসহ বাকি দেশগুলোর খেলোয়াড়দের সাথে বেড়েছিল ঘনিষ্ঠতা। নানা আলাপচারিতায় মারিয়া জামিলা খান, সাবিত্রা ভান্ডারিদের ব্যক্তিগত স্পন্সর থাকার কথা জেনেছিলেন সাবিনা খাতুন। বাংলাদেশ অধিনায়কের চাওয়া, পৃষ্ঠপোষকরাও যেন একইভাবে দেশের তারকা খেলোয়াড়দের পাশে থাকেন।
উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় শিরোপা জিতে ফেরা দলকে রোববার বাফুফে ভবনে সংবর্ধনা দিয়েছে ওয়ালটন। সাফ জয়ী দলের প্রতিটি সদস্যকে একটি করে রেফ্রিজারেটর উপহার দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
টুর্নামেন্টজুড়েই আলো ঝলমলে ছিল মেয়েদের পারফরম্যান্স। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও উজ্জ্বল ছিলেন অনেকে। ঋতুপর্ণা চাকমা হন প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়। গত আসরের মতো এবারও মেয়েদের সাফে সেরা গোলরক্ষকের মুকুট জিতেন রূপনা চাকমা। ৫ গোল করে পাদপ্রদীপের আলোয় ছিলেন ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন।
দুই বছর আগের আসরে ৮ গোল করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছিলেন সাবিনা। এবারও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক জানালেন, উপহার ও সংবর্ধনা পেতে ভালো লাগে তাদের। নারী ফুটবলারদের জন্য আর্থিক নিরাপত্তাও যে ভীষণ জরুরি, তাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
“ফুটবল বিশ্বে… পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে তাদের তারকা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত স্পন্সর আছে। আমাদের সেটা নেই। যদি আমরা পাই, তাহলে মেয়েরা লাভবান হবে, ফুটবল লাভবান হবে।”
নারী ফুটবলারদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি বাফুফেও ভাবছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু এখনও তা শতভাগ নিশ্চিত করা যায়নি। সংস্থাটির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানালেন, চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা।
“কেউ যদি আপনার বাসায় দাওয়াত খেতে যায়, আপনি তো তাকে বলতে পারবেন না, এটা-ওটা নিয়ে আসতে হবে। তেমনি আমিও বলতে পারি না। তবে নানাভাবে আমরা স্পন্সরদের বলি, যাতে তারা সম্মানজনক কিছু একটা করে।”
“আমার যদি টাকা পয়সা না থাকে, তাহলে আমি এই মেয়েদের পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারব না। লিগ, আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারব না। এজন্যই পৃষ্ঠপোষক ও সরকারের সহযোগিতা চাই আমরা।”