শেষ ষোলোর প্রথম লেগের হতাশা মুছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা লড়াইয়ে টিকে রইল টমাস টুখেলের দল।
Published : 06 Mar 2024, 02:54 AM
অনেক প্রচেষ্টা বিফলে যাওয়ার পর দলকে পথ দেখালেন হ্যারি কেইন। ইংল্যান্ড অধিনায়কের জোড়া গোলে প্রথম লেগের ঘাটতি পুষিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল বায়ার্ন মিউনিখ।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে লাৎসিওকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দুই লেগ মিলিয়ে তাদের জয় ৩-১ ব্যবধানে।
সাম্প্রতিক সময়ে বায়ার্নের পারফরম্যান্স ভীষণ সাদামাটা। বুন্ডেসলিগায় শীর্ষে থাকা বায়ার লেভারকুজেনের থেকে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়ায় টমাস টুখেলের দলের লিগ শিরোপার আশা প্রায় শেষ। গত মাসে লাৎসিওর মাঠে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেও বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে যায় তারা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত কয়েক ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সও ভালো ছিল না। সেখান থেকে কী দুর্দান্তভাবেই না ঘুরে দাঁড়াল ইউরোপের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।
বায়ার্নের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে শুরু থেকে ঘর সামলানোয় বাড়তি মনোযোগ দিতে হয় লাৎসিওকে। স্বাগতিকরা বারবার আক্রমণে উঠলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণে সব ভেস্তে যাচ্ছিল।
চতুর্দশ মিনিটে প্রথমবার লাৎসিও গোলরক্ষকের পরীক্ষা নেন জামাল মুসিয়ালা। দূর থেকে তার নেওয়া জোরাল শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন ইভান প্রোভেদেল। তিন মিনিট পর কেইনের শটে বল একজনের পায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
চাপ সামলে ৩৬তম মিনিটে শাণানো প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যেতে পারত লাৎসিও। সতীর্থের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের একজনের মাথা ছুঁয়ে দূরের পোস্টে ফাঁকায় পান চিরো ইম্মোবিলে, কিন্তু ঠিকমতো হেড করতে পারেননি তিনি।
এর দুই মিনিট পরই কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় বায়ার্ন। টমাস মুলারের হেড পাস বক্সে পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি রাফায়েল গেররেইরো, তবে তার পা হয়ে বল পেয়ে যান কেইন। একটু নিচু হয়ে হেডে দলকে সমতায় ফেরান ইংলিশ স্ট্রাইকার। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও রুখতে পারেননি।
দুই মিনিট পর বায়ার্নের আরেকটি দারুণ আক্রমণ। তবে মুসিয়ালার কোনাকুনি শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। অবশ্য দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের।
বিরতির আগে বলে শেষ ছোঁয়ায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। কর্নারের উড়ে আসা বল লাৎসিও ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল ভলি করেন মাটাইস ডি লিখট। বল দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যেই ছিল, মুলারের ছোঁয়ায় তা নিশ্চিত হয়ে যায়; ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে হেডে ম্যাচের স্কোরলাইন ২-০ করেন তিনি।
৬৬তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় বায়ার্ন। লেরয় সানের জোরাল শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন কেইন।
চলতি আসরে আট ম্যাচে ৬ গোল করে পিএসজির কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইন।
ভাগ্য সহায় হলে পাঁচ মিনিট পর আবার গোল পেতে পারত বায়ার্ন। তবে মুলারের জোরাল শট পোস্টে বাধা পায়। তাতে ব্যবধান না বাড়লেও বায়ার্নের জন্য তা কোনো দুর্ভাবনার কারণ হয়নি। পুরো ম্যাচেই লাৎসিও পারেনি লক্ষ্যে কোনো শট রাখতে।