নিয়ম ভেঙে নাইট ক্লাবে যাওয়া মার্কাশ র্যাশফোর্ডের ইস্যু শেষ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ।
Published : 01 Feb 2024, 02:42 PM
ক্লাবের শৃঙ্খলা ভেঙে নাইট ক্লাবে যাওয়ায় মার্কাশ র্যাশফোর্ডকে এফএ কাপের ম্যাচে ব্রাত্য করে রেখেছিলেন এরিক টেন হাগ। নিয়ম ভাঙায় তাকে শাস্তি দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ। তার মতে, সেরাটা নিংড়ে দিতে হলে খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।
নিয়মানুবর্তিতার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জানান টেন হাগ। এই ইস্যুতে বরাবরের মতোই কঠোর থাকবেন তিনি।
গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে নাইট ক্লাবে সময় কাটাতে যান র্যাশফোর্ড। পরদিন গত বৃহস্পতিবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জানান, অনুশীলন করার মতো অবস্থায় নেই তিনি।
তার নাইট ক্লাবের যাওয়ার খবর গোপন থাকেনি। পরে এই ফরোয়ার্ডকে এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে নিউপোর্ট কাউন্টির বিপক্ষে ম্যাচের দলে রাখেননি টেন হাগ।
শৃঙ্খলা ইস্যুতে টেন হাগ এই প্রথম কঠোর হলেন, তা নয়। এর আগে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, জেডন স্যানচোকে কড়া শাস্তি দিয়েছিলেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগে বৃহস্পতিবার উলভারহ্যাম্পটন ম্যাচের আগে আবারও শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনো ছাড় নয় বলে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ইউনাইটেড কোচ।
“ফুটবলে, মাঠে ও মাঠের বাইরে আপনার শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হবে। সবকিছুর একটা সীমারেখা আছে এবং সব খেলোয়াড়, পেশাদাররা তা জানে। কখন কী করণীয়, তারা জানে। আমাদের ম্যাচ জয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে এবং এটাই মূল কথা। সব শীর্ষ পর্যায়ের পেশাদার খেলোয়াড়ই জানে, কী প্রয়োজনীয়।”
র্যাশফোর্ড অবশ্য নিজের দায় মেনে নিয়েছেন। ফলে বিষয়টি বেশি দূর গড়ায়নি। উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে খেলার সুযোগও পেতে পারেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
ওই বিষয়টি নিয়ে এখন আর বেশি কথা বলতে আগ্রহী নন টেন হাগ। র্যাশফোর্ডের আচরণ কোচের প্রতি ‘শ্রদ্ধার কমতি কিনা’ এমন প্রশ্নের জবাবেও তিনি বলেছেন, ওই পাট চুকে গেছে।
“র্যাশফোর্ড তার দায় নিয়েছে এবং বাকিটা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। মামলা শেষ। এটা নিয়ে আর কিছুই বলার নেই। যেহেতু আমি বলেছি, ওই ইস্যু এখানেই শেষ।”
গত মৌসুমে ৩০ গোল করা র্যাশফোর্ড চলতি মৌসুমে ধুঁকছেন। ২৬ ম্যাচে মাত্র চার বার জালের দেখা পেয়েছেন তিনি। তবে টেন হাগের বিশ্বাস, গাসমুস হয়লুনের সঙ্গে আক্রমণভাগে র্যাশফোর্ডের জুটি জমবে।
“মার্কাশ র্যাশফোর্ড ও গাসমুস হয়লুনের মধ্যে শক্তিশালী একটা বন্ধন তৈরি হচ্ছে এবং আমরা এই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে চাই।”