গ্যালারি দর্শকে ঠাসা। সবাই এসেছেন অষ্টম ব্যালন দ’র জেতা লিওনেল মেসিকে অভিনন্দন জানাতে; আর্জেটাইন তারকার অর্জনের উৎসবে শামিল হতে। দর্শকের উন্মাদনা, ভালোবাসা ভীষণভাবে ছুঁয়ে গেল মেসিকে। আর্জেন্টাইন মহাতারকাও আশাবাদ জানালেন, ইন্টার মায়ামির হয়ে সামনের সময়টা আরও ভালো কাটবে তার।
বার্সেলোনা, পিএসজি ঘুরে ইন্টার মায়ামিতে এসে সময়টা মাঠে ও মাঠের বাইরে বেশ ভালোই কাটছে মেসির। দলটির হয়ে প্রথম মৌসুমেই জিতেছেন লিগস কাপ। মায়ামির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছেন ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের বড় স্বীকৃতি ব্যালন দ’র।
মাঠের বাইরের সময়টাও মেসির ভালো যাওয়ার কারণ অন্যরকম। ফ্লোরিডাতেই বাস অনেক লাতিন আমেরিকানের। মানে যারা মেসির স্বদেশি কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলের মানুষ। ফলে ফ্লোরিডাতে যেন চেনা মানুষের বলয়ে থাকাটা অনুভব করেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
মেসির অষ্টম ব্যালন দ’র জয় উদযাপনের জন্য নিউ ইয়র্ক সিটির বিপক্ষে এই প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজন করে ইন্টার মায়ামি। নিজেদের মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতের প্রীতি ম্যাচটি
অবশ্য ২-১ গোলে হেরে গেছে তারা।
ম্যাচের আগে মেসির ব্যালন দ’র জয়ের উদযাপনে মাতেন সমর্থকরা। সে সময় ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড মেলে ধরেন কথার ঝাঁপি।
স্বাভাবিকভাবে সমর্থকদের ভালোবাসা ছুঁয়ে গেছে মেসিকে। এতটাই যে, ইন্টার মায়ামিতে আসার এক বছর পূর্ণ না হলেও তার মনে হচ্ছে, দীর্ঘদিন এই শহরে আছেন তিনি!
“এখানে আসার জন্য, এত সুন্দর শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এই অর্জন আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারা আমার কাছে খুবই দারুণ বিষয়। আমি এখানে খুব বেশি দিন আসিনি, কিন্তু মনে হচ্ছে, এখানে দীর্ঘদিন ধরে আছি।“
“মায়ামির সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, এই শহরের মানুষরা যেভাবে আমাকে এবং আমার পরিবারকে গ্রহণ করেছে, আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছে এবং তাদের এখানে আমি স্বচ্ছন্দে আছি। এই শহরে অনেক লাতিনোস (লাতিন অঞ্চলের মানুষ) থাকেন। এতে আমি স্বচ্ছন্দ বোধ করি এবং আমরা খুবই ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছি।“
নিজের প্রথম মৌসুমেই মায়ামিকে শিরোপা এনে দিয়েছেন মেসি। দলের সঙ্গে সামনের পথচলাতেও আরও সাফল্য, উৎসবের সময় আসবে বলে আশাবাদ জানালেন তিনি।
“অল্প সময় আমরা একসঙ্গে আছি এবং এই অল্প সময়েই গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্জন করেছি, যেমন ক্লাবের হয়ে শিরোপা। এটা গুরুত্বপুর্ণ। আমরা এটার খোঁজে ছিলাম। সামনের বছরের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ এবং গুরুত্বপুর্ণ একটা টুর্নামেন্টে খেলার সম্ভাবনা আছে আমাদের।“
“এখানে আমরা ভালো সময় কাটাতে পারব কিনা-এ বিষয়ে আমার মনে কোনো সংশয় ছিল না। এখন আরও নেই। আগামী বছরে আরও ভালো সময় কাটাতে যাচ্ছি আমরা। আমরা উপভোগ করব এবং শিরোপা জিতব। আশা রাখি, আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন। আপনাদের পাশে পাওয়া দারুণ ব্যাপার।“