প্রতিপক্ষের মাঠে আগের দুই ম্যাচে হারের পর এখানে অন্তত ড্র করে পরের ধাপে উঠতে পারায় কিছুটা সন্তুষ্ট পিএসজি ডিফেন্ডার।
Published : 14 Dec 2023, 02:30 PM
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাওয়ে ম্যাচে ভোগান্তি যেন শেষই হচ্ছে না পিএসজির। প্রতিপক্ষের মাঠে নামলেই জয়ের পথ হারিয়ে ফেলছে তারা। সবশেষ তাদের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। শেষ পর্যন্ত অন্য ম্যাচের ফল পক্ষে আসায় পরের ধাপের টিকেট মিললেও, সামনের পথচলায় অনেক উন্নতির প্রয়োজন দেখছেন দলটির ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস।
অনেক রকম সমীকরণ আর সম্ভাবনা নিয়ে বুধবার রাতে মাঠে নেমেছিল পিএসজি। ডর্টমুন্ডের সবুজ আঙিনায় তাদের সামনে যেমন ছিল গ্রুপ সেরা হওয়ার হাতছানি, তেমনি ছিল একেবারে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কাও।
অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণে ঠিকই আধিপত্য করে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। অনেক সুযোগও পায় তারা; কিন্তু কিলিয়ান এমবাপে-ভিতিনিয়ারা যেন সুযোগ নষ্টের মহড়ায় নেমেছিলেন।
রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে উল্টো পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। এর পাল্টা জবাব দিতে অবশ্য দেরি করেনি তারা, পাঁচ মিনিটেই সমতা টানেন ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ওয়ারেন জাইরে-এমেরি। এরপর যদিও আর পায়নি তারা জালের দেখা।
ফলে ম্যাচ শেষেও ছিল ক্ষণিকের অনিশ্চয়তা। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-১ গোলে এসি মিলানের জয়ের খবর আসার পরই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পিএসজি।
ম্যাচ শেষে মার্কিনিয়োসও বললেন স্বস্তির কথা। একই সঙ্গে সতীর্থদের যত দ্রুত সম্ভব ভুল শুধরে উন্নতির তাগিদ দিলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।
“প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করা, তবে একই সঙ্গে আমাদের বাস্তববাদীও হতে হতো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেকোনো মূল্যে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা। এখন থেকে পরবর্তী রাউন্ড শুরুর আগ পর্যন্ত আমাদের ভালোমতো প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, আরও বড় প্রতিপক্ষ সামনে পড়বে।”
ইউরোপ সেরার মঞ্চে চলতি মৌসুমে প্রতিপক্ষের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলে জয়শূন্যই রইল পিএসজি। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এসি মিলানের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল তারা।
ডর্টমুন্ডের মাঠে গিয়ে হারের ওই বৃত্ত থেকে অন্তত বেরিয়ে আসতে পারল তারা। তাদের পারফরম্যান্সেও ছিল উন্নতির ছোঁয়া, চোখে পড়েছে জয়ের প্রচণ্ড ক্ষুধা। ফিনিশিংয়ে দুর্বলতায় যদিও তা মেলেনি। তবে, এ বিষয়েও মার্কিনিয়োসের কথায় থাকল কিছুটা স্বস্তি।
“প্রতিপক্ষের মাঠে আমাদের পারফরম্যান্সের উন্নতির খুব প্রয়োজন ছিল।”
‘এফ’ গ্রুপ থেকে আগেই নকআউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করা ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ১১।
পিএসজি ও এসি মিলানের পয়েন্ট সমান ৮ করে, তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ইউরোপা লিগে জায়গা করে নিয়েছে মিলান।