মারাত্মক চোট পেয়ে মুখে অনেক ক্ষত নিয়ে মাঠ ছাড়েন পিএসজির গোলকিপার।
Published : 19 Dec 2024, 12:22 PM
চোট পাওয়ার পরপরই মুখে হাত দিয়ে শুয়ে পড়লেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। মুহূর্তেই তার কিপিং গ্লাভস ও মাঠের সবুজ ঘাস লাল হয়ে উঠল তাজা রক্তে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের বুটের আঘাতে মুখে অনেক ক্ষত নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো পিএসজির গোলকিপারকে।
ফরাসি লিগে বৃহস্পতিবার মোনাকোর মাঠে মারাত্মক এই চোট পান দোন্নারুম্মা। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে আক্রমণে ওঠে মোনাকো। ডান পাশ দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ডিফেন্ডার উইলফ্রিড সিঙ্গো। দোন্নারুম্মা ছুটে গিয়ে দেয়াল হয়ে বসে পড়েন সামনে। সিঙ্গোর শট প্রতিপত হয় পিএসজি গোলকিপারের পায়ে।
তবে দৌড়ের গতি সামলাতে পারেননি সিঙ্গো। তিনি চেষ্টা করেন দোন্নারুম্মার শরীরের ওপর দিয়ে লাফিয়ে পার হতে। কিন্তু তার বুটের স্পাইক গিয়ে লাগে দোন্নারুম্মার মুখের ডানপাশে।
ইতালিয়ান গোলকিপারের চোখের নিচে গালের নানা অংশ কেটে যায় বাজেভাবে। ডজনখানেক স্ট্যাপল দিয়ে আপাতত সামলানো হয় পরিস্থিতি। খেলা বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ। পরে মাঠ ছেড়ে যান দোন্নারুম্মা। বদলি গোলকিপার মাতভেই সাফানভ নামেন মাঠে।
ওই ঘটনায় কোনো কার্ড দেখানো হয়নি সিঙ্গোকে। এর কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন আইভরিয়ান এই ফুটবলার। আরেকটি হলুদ কার্ড দেখালে তাকে মাঠ ছাড়তে হতো। তবে ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবর, ওই চোটকে ঘটনাক্রম হিসেবেই দেখেছেন রেফারি, তার কাছে ইচ্ছাকৃত মনে হয়নি।
যদিও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে অনেক। বিপজ্জনক খেলার কারণে অনেকে আঙুল তুলছেন সিঙ্গোর দিকে। তবে কারও বিরুদ্ধেই অভিযোগ নেই পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের।
“রেফারির সিদ্ধান্ত? আমার তো কিছু করার নেই। ঘটনাটি আমি দেখতে পাইনি। এই ধরনের ঘটনা অবশ্য সবসময়ই কঠিন।”
“ফুটবলাররা তো আর ইচ্ছে করে আঘাত করে না! এই ধরনের ম্যাচে রেফারির কাজটাও কঠিন। রেফারির কাজ নিয়ে কথা বলব না আমি।”
ম্যাচের প্রথমার্ধে পিএসজি ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটের মধ্যে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় মোনাকো। তবে উসমান দেম্বেলের জোড়া গোল ও গন্সালো রামোসের গোলে শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে জিতে যায় এনরিকের দল।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান আরও সংহত করে পিএসজি। ১৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪০। এক ম্যাচ কম খেলে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্শেই। ১৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে মোনাকো।