চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যে নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচ শেষে রেফারির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মাওরিসিও পচেত্তিনো। লন্ডনের ক্লাবটির কোচ দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রতিপক্ষ কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার কাছেও।
শেষের ওই উত্তেজনার মধ্যে গুয়ার্দিওলার সঙ্গে হাতও মেলাননি পচেত্তিনো। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন এই আর্জেন্টাইন কোচ। তার উপলব্ধি, সীমা ছাড়িয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগে রোববারের জমজমাট ম্যাচটি ড্র হয় ৪-৪ গোলে। ম্যাচ শেষের খানিক আগে চেলসি আরেকটি গোলের সন্ধানে ছিল, ওই মুহূর্তে খেলা থামানোয় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন পচেত্তিনো। তাই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই রেফারির দিকে ছুটে গিয়ে কিছু বলতে দেখা যায় সাবেক এই পিএসজি কোচকে। ফলে হলুদ কার্ডও দেখেন তিনি।
রেফারি ও গুয়ার্দিওলার সঙ্গে আচরণটা যে ঠিক হয়নি, সেটা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন পচেত্তিনো।
“আমাকে অ্যান্থনি (টেইলর) এবং ম্যাচ অফিশিয়ালদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ওই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছিল রাহিম (স্টার্লিং) পঞ্চম গোলটা করতে পারত। আর ঠিক সেই সময়ে যখন ম্যাচটা শেষ হয়ে গেলে, তখন আমি অ্যান্থনির কাছে গিয়ে বলি, ‘আপনার ধারণা আছে যে কী হচ্ছে? এই মুহূর্তে কেন থামানো হলো?’”
“এরপর আমি বুঝতে পারলাম। বললাম, ‘আমি হলুদ কার্ড পাওয়ার যোগ্য’, কারণ হ্যাঁ, আমি সীমা অতিক্রম করেছি। আমি ক্ষমা চাইতে চাই, কারণ এই ধরনের আচরণ আমার এবং ফুটবলের জন্য ভালো ইমেজ নয়। আমি তার (গুয়ার্দিওলা) কাছেও ক্ষমা চাইতে চাই। সেই সময়ে আমি তাকে দেখিনি। শুধু মাঠে কী হচ্ছে, সেই দিকেই আমার মনোযোগ ছিল। তাই আমি পেপের কাছেও ক্ষমা চাইতে চাই।”
গুয়ার্দিওলার কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।
“কোনো সমস্যা নেই। এটা কোনো সমস্যা নয়। আমি ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলতে চাই না, এটা ঠিক আছে। আমার সঙ্গেও মাঝে মাঝে এমন হয়েছিল। আমি চাই না আপনারা আমাকে ভুল বুঝুন, পচেত্তিনো এমনটা আগেও করেছে, কিন্তু সমস্যা নেই। সবকিছুই ঠিক আছে।”
৪-৩ গোলে পিছিয়ে থাকার সময় দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে শেষ গোলটি করেন চেলসির কোল পালমার।
এই ড্রয়ের পর ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে আছে চেলসি।
আর ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ম্যানচেস্টার সিটি।