মেসি-এমবাপের নৈপুণ্যে জয়ের ধারায় পিএসজি

গোল্ডেন বুটের লড়াই জমে উঠেছে কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমারের মধ্যে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2022, 08:54 PM
Updated : 3 Sept 2022, 08:54 PM

তিন দিন বাদে নামতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াইয়ে। তাই হয়তো নেইমারসহ শুরুর একাদশে চারটি পরিবর্তন আনেন পিএসজি কোচ। কিলিয়ান এমবাপে ও লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে জয় নিয়ে অবশ্য ভাবতে হয়নি তাদের। সহজেই নঁতকে হারিয়ে জয়ের ধারা ধরে রাখল ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।

প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লিগ ওয়ানে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। মেসির অ্যাসিস্টে জোড়া গোল করেছেন এমবাপে। অন্যটি নুনো মেন্দেসের।

দলটির বিপক্ষে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো ছিল না পিএসজির। আগের তিন মুখোমুখি লড়াইয়ের দুটিতে হেরেছিল তারা। গত মৌসুমে লিগের দ্বিতীয় দেখায় এই মাঠে ৩-১ গোলে হেরেছিল পিএসজি। তার আগের আসরে নেইমারদের তাদেরই মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল নঁত।

অধিকাংশ সময় একজন কম নিয়ে এবার কোনো অঘটনের সম্ভাবনাই জাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা।

দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ১৮তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে। নিজেদের সীমানা থেকে বল পায়ে অনেকটা এগিয়ে ডি-বক্সে বাঁ দিকে সতীর্থকে খুঁজে নেন মেসি। ফাঁকায় বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উঁচু কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।

ছয় মিনিট পর আরও বড় ধাক্কা খায় নঁত। প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার ভিতিনিয়াকে বিপজ্জনক ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফাবিও।

অল্প সময়ের মধ্যে পিছিয়ে পড়া ও গুরুত্বপূর্ণ এক খেলোয়াড়কে হারালেও হতাশা পেয়ে বসতে দেয়নি নঁত। মাঝেমধ্যেই বরং পাল্টা আক্রমণে উঠতে থাকে তারা। উল্টো পিএসজিই যেন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে।

দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে তিনি ডি-বক্সে ঢুকে ডান দিকে পাস বাড়ান মেসিকে। প্রতিপক্ষের বাধায় শট নেওয়ার জায়গা করতে পারেননি আর্জেন্টাইন তারকা। ছয় গজ বক্সে ফিরতি পাস দেন তিনি। কার্যকর এক টোকায় বিশ্বকাপজয়ী তারকা বল ঠেলে দেন জালে।

আসরে এমবাপের গোল ৭টি, গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে বসলেন নেইমারের পাশে।

৬২তম মিনিটে হ্যাটট্রিক হতে পারত এমবাপের। পাবলো সারাবিয়ার পাস ধরে গোলরক্ষককে কাটিয়ে শট নেন তিনি; তবে শেষ মুহূর্তে ঠেকিয়ে দেন নিকোলা পালোয়া। এর পরপরই এমবাপেকে তুলে নেন কোচ, মাঠে নামেন নেইমার।

বদলি নামার কিছুক্ষণ পরই গোল পেতে পারতেন নেইমার। তবে তার শট বাধা পায় পোস্টে। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে জোরাল শটে ব্যবধান আরও বাড়ান তরুণ ডিফেন্ডার মেন্দেস।

৮৩তম মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। সামনে গোলরক্ষককে একা পেয়েও যথেষ্ট জোরে শট নিতে পারেননি তিনি, কোনোমতে ঠেকিয়ে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি নঁত গোলরক্ষক।

ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্সেই।

সামনের চ্যালেঞ্জ এবার ইউরোপ সেরার মঞ্চ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন আসর শুরুর দিনে আগামী মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে ইউভেন্তুসের মুখোমুখি হবে পিএসজি।