“গতবার সারাদেশে অন্তত এক ডজন নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন, এবার তাদের অর্ধেকও জয়ী হয় কি না সন্দেহ রয়েছে।”
Published : 22 May 2024, 01:20 AM
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ২০০৯ ও ২০১৪ সালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেতার পর ২০১৯ সালে চেয়ারম্যান হন নাজমা খানম। অভিজ্ঞ এই জনপ্রতিনিধি এবার ভোটের দৌড়ে নেই।
কেন নেই? প্রশ্ন করতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নাজমা খানম। বললেন, “মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছি নানা প্রতিবন্ধকতায়। জয়ী হয়েও পরিষদ চালাতে সমস্যা হয়। এ নিয়ে এখন আর বলতে চাই না।”
ভোটের লড়াইয়ে থাকতে হলে নারীদের সামাজিক, দলীয় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয় বলে জানালেন নাজমা।
জেলা আওয়ামী লীগের এ সদস্য বলেন, নারীদের নির্বাচনে রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা দরকার রাজনৈতিক দলের। কারণ, ভোটের মাঠে নারীবান্ধব অনুকূল পরিবেশ ‘তেমন থাকে না’।
“নির্বাচনে যে কোনো পদে নারীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সহজে মেনে নেওয়া হয় না। গতবার সারাদেশে অন্তত এক ডজন নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন, এবার তাদের অর্ধেকও জয়ী হয় কিনা সন্দেহ রয়েছে।”
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এবারই প্রথম একজন নারী চেয়ারম্যান পদে লড়াই করেছেন। শাহীনা বেগমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন আরও তিন প্রার্থী।
শাহীনার ভাষ্য, নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে ভোটের লড়াই পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ‘বাধা’ এসেছে। ‘পেশীশক্তি, অর্থনৈতিক এবং পারিপার্শ্বিক প্রভাবের’ মুখোমুখি হতে হয়েছে।
আনারস প্রতীকে নিয়ে লড়াই করা শাহীনা বলেন, “পুরুষশাসিত সমাজে উপজেলা পরিষদে নির্বাচন খুবই কঠিন।”
মঙ্গলবারের ভোটে হেরে গেছেন এই প্রার্থী।
বিশ্লেষক ও প্রার্থীরা বলছেন, ভোটের লড়াইয়ে ‘অনুকূল পরিবেশের অভাবে’ নারী প্রার্থীদের আগ্রহ কমছে। নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকতে পারছেন না অনেকে।
>> সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেড় সহস্রাধিক প্রার্থীর মধ্যে ৯৬ জন নারী প্রার্থী ছিলেন।
>> উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ২৪ জন নারী প্রার্থী এবং দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলায় ২৫ জন নারী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলেন, জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, রাজনীতিতেও নারীর সংখ্যা কম নয়। ৩৩% শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে নির্বাচনি আইন রয়েছে। সেই বিবেচনায় এবার উপজেলা ভোটে চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থীর সংখ্যাকে মোটেও সন্তোষজনক বলা যায় না।
“তিনশ (দুই ধাপ মিলিয়ে) উপজেলায় ৪৯ জন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী– এ সংখ্যা অনেক কম। নির্বাচন এবং রাজনীতি এখন অনেকটা ইনভেস্টমেন্ট হয়ে গেছে। টাকাপয়সা ছাড়া নির্বাচন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীর চেয়ে পুরুষ প্রার্থীরা অর্থের দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া কমবেশি পেশীশক্তির ব্যবহার রয়েছে ভোটে। সিনিয়র কোনো নেতার আশীর্বাদ রয়েছে, কোথাও কোথাও সরাসরি ইনফ্লুয়েন্স রয়েছে। হয়ত নারী প্রার্থী হতে সেটা পায়নি। এ তিনটির অভাবেই নারী প্রার্থী কম।”
চেয়ারম্যান পদে নারীর অংশগ্রহণ নামে মাত্র
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপে তিন শতাধিক উপজেলায় ভোট শেষ হয় মঙ্গলবার। দুই ধাপে দেশের প্রায় ৬২% উপজেলায় ভোট শেষ হয়েছে, আরও দুই ধাপে দেড় শতাধিক উপজেলার ভোট হবে ২৯ মে ও ৫ জুন।
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতার সুযোগ থাকলেও ক্ষমতাসীনদের কৌশলে এবং বিরোধীদের বর্জনে চেয়ারম্যান পদে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের লড়াই হচ্ছে।
দুই ধাপের ভোট তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান পদে প্রতি ধাপে গড়ে মাত্র ৪% নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদটিও নারীদের জন্য উন্মুক্ত, কিন্তু সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নগণ্য। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ সংরক্ষিত, তাই সেখানে সবাই নারী।
>> ৮ মে প্রথম ধাপের ভোটে ১৩৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন ৫৭০ জন। এতে নারী প্রতি ছিলেন মাত্র ২৪ জন।
>> ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৬০৩ জন। এ ধাপে নারী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মাত্র ২৫ জন।
যা বলছেন সফল দুজন
গত ৮ মে প্রথম ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় দুজন নির্বাচিত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরকার ফারহানা আখতার সুমি ডোমার উপজেলায় আরও সাত প্রার্থীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেলিফোন প্রতীকে জয় পেয়েছেন তিনি।
নব নির্বাচিত এ চেয়ারম্যান বলেন, “ভোটের মাঠে আমাকেই বেশি ফাইট করতে হয়েছে। নারী হওয়ায় নানা অপবাদ, সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে; দুবার হামলা করা হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবে দমাতে পারেনি। নারীদের ভোট করতে নিজেদেরও যোগ্যতা থাকতে হবে। তখন এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জয় পাওয়াও সম্ভব।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করা সুমির ভাষ্য, নারীদের ‘অনেক স্ট্রাগল’ করে নির্বাচনে থাকতে হয়, যদিও পুরুষদের ক্ষেত্রে বিষয়টা সেরকম নয়।
তিনি বলেন, আরপিও অনুযায়ী, দলের সব স্তরের কমিটিতে ৩৩% নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের বিধান রয়েছে। দল থেকে নারীদের মনোনয়ন বাড়ালে এবং কমিটিতে নারীদের সংখ্যা বাড়লে সব নির্বাচনে নারী প্রার্থীও বাড়বে।
পাঁচ জনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের রোমা আক্তার ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন; যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
তিনি বলেন, “প্রথমবার নির্বাচিত হলাম। বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে। সবার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। ভোট সামনে রেখে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে ভালো নির্বাচন হয়েছে।”
প্রচারে প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দুইবারের ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমালোচনা করে ফারজানা বলেন, “তিনি নারীদের সব সময় হেয় করেন। নারী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ভোটারদের বলে বেড়াচ্ছেন ‘নারীকে ভোট দিয়ে কী হবে? আমি যা করতে পারব, তা কি ও করতে পারবে’?”
উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরপর দুইবার দায়িত্বে রয়েছেন ফারজানা বিনতে ওহাব।
তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকে সংগ্রাম করা প্রতিবাদ করার মধ্যে দিয়েই বড় হয়েছি। সংগ্রাম করেই জনপ্রতিনিধি হয়েছি। সেই সংগ্রাম অন্য সাধারণ নারীরা করতে পারে না। তাই পুরুষদের সাথে লড়াইয়ে সাধারণ নারী কম দেখা যায়।”
ফারজানা ওহাব মনে করেন, নারীরা অনেক সময় নেতার অনুমতি ছাড়া স্বাভাবিকভাবে কোনো সিদ্বান্ত নিতে পারেন না; এটাও একটা প্রতিবন্ধকতা।
“নারী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গিয়ে প্রতিপক্ষের সমালোচনা ও মানসিক চাপ সহ্য করতে পারে না। আমি যে কয়বার জনপ্রতিনিধি হয়েছি। প্রতিবার হুমকি ও বড় শক্তির বিপক্ষে লড়াই করে টিকে রয়েছি। সবাই তো আমার মত লড়াই করে টিকে থাকতে পারে না। নিজের খেয়ে অন্যের জন্য তো সবাই লড়াই করে না। নারীরা কারো না কারো ছত্রছায়ায় রাজনীতি করে। তারা মাথা নত করেই রাজনীতি করে। তাই তারা নিজেদের শক্ত কোন ভিত তৈরি করতে পারে না।”
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় দুইবারের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও দুই বারের চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দা মনিরুননাহার মেরী। বরিশাল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ নেত্রী এবারের নির্বাচনে থাকলেও আরেকজনকে ‘সমর্থন দিয়ে ভোটের মাঠে চুপচাপ’ রয়েছেন। তার উপজেলায় ভোট হবে তৃতীয় ধাপে ২৯ মে।
এবারের চিত্র
ধাপ |
চেয়ারম্যান প্রার্থী |
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী |
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী |
মোট প্রার্থী |
উপজেলা |
প্রথম |
৫৭০ |
৬২৫ |
৪৪০ |
১৬৩৫ |
১৩৯+ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫টি |
দ্বিতীয় |
৬০৩ |
৬৯৩ |
৫২৮ |
১৮২৪ |
১৫৬+ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২টি |
তৃতীয় ধাপ |
৪৮৫ |
৫৭১ |
৩৭৮ |
১৪৩৪ |
১১২ |
চতুর্থ ধাপ |
২৭২ |
২৬৬ |
১৯৯ |
৭৩৭ (প্রত্যাহারের পর কমবে) |
৫৫ |
নারীবান্ধব নয়?
নির্বাচনের পরিবেশ ‘নারীবান্ধব নয়’ বলে মনে করছেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নির্বাচনের জন্য অনেক টাকা-পয়সা ও ক্ষমতার প্রয়োজন রয়েছে। আবার যে ধরনের সহিংসতা হচ্ছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, সেগুলো মোকাবেলা করা নারীদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। সেজন্যই নারী প্রার্থীদের সংখ্যাও কম।”
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু জানান, নারীদের নির্বাচনে অনেক বাধা। তারপরও তারা এগিয়ে আসছে। এবার সবারই নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ কম।
“নারীরা নির্বাচন করছে। কিন্তু তাদের হাতে টাকা নাই, সমর্থন নাই। মানি-মাসল এগুলো তো নারীদের নাই। যখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, ক্যাম্পেইন করা সহজ হবে, তখন অনেক নারী নির্বাচনে আসবে।”
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ-জানিপপ এর চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলছেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন এক ‘অভিনব অভিজ্ঞতার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
“যেখানে সংসদ নির্বাচনে জামানত মাত্র ২০ হাজার টাকা সেখানে চেয়ারম্যান পদে লাখ টাকা জামানত দিতে হচ্ছে প্রার্থীদের। সেই সঙ্গে দলের মনোনয়ন নেই। ভোট করতে পেশি ও অর্থের পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক প্রভাবের বিষয়ও রয়েছে। আর একই দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছে।
“সব মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন প্রায় সহিংসতাহীন হলেও জামানত বেশি, স্থানীয় প্রভাব, টাকার প্রভাব আর একই দলের একাধিক প্রার্থীর দৌড়ের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ কম হচ্ছে।”
সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের মতে, নারীরা হয়ত চেয়রাম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত যোগ্য মনে করছে না নিজেদেরকে৷
“নির্বাচনি পরিবেশও অনেক সময় নির্ভর করে, সহিংসতা না থাকলেও নির্বাচনি পরিবেশে যদি প্রভাব থাকে- সেক্ষেত্রে তারা আসবে না। তখন মনে করবে, সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হতে পারব না, আবার জামানতের ব্যাপার আছে৷ যত উচ্চশিক্ষিতই হোক এখনও মেয়েদের মেয়ে হিসেবেই ট্রিট করা হয়, ছেলে-মেয়ে একটা বৈষম্য সব জায়গাতেই থাকে৷”
“এসব তাদের সাহসী করছে না হয়ত নির্বাচনে আসার ক্ষেত্রে। কারণ ভোট কম পেলে জামানত বাতিল হয়ে যাবে৷ অনেক নারীর তো আর্থিক সংস্থান নাই, স্বামীর অর্থের উপর নির্ভর করতে হয়। এসব কারণে তারা নিরাপদ মনে করছে না ভোটে আসাটা।”
আওয়ামী লীগ আশাবাদী
উপজেলা নির্বাচনে নারীদের কম অংশগ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমও।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে শুধু রাজনীতিতে নয়, সর্বক্ষেত্রে নারীরা দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন। দক্ষ প্রশাসক হিসেবে তাদের ব্যাপক ভূমিকা আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই বিবেচনায় এমপি মন্ত্রী হিসেবে নারী নেত্রী অসংখ্য, কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে সেই সংখ্যাটা তুলনামূলকভাবে কম।”
এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় নারীর অংশগ্রহণ কম বলে মনে করেন তিনি।
“আওয়ামী লীগ যখন দলীয়ভাবে মনোনয়ন দিয়েছে, তখন দেখে থাকবেন নারীদের আধিক্য ছিল, প্রতীক না থাকায় এবার সেটা কিছুটা কমলেও আমাদের দায়িত্ব কিন্তু কমেনি।”
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নিবন্ধিত দলগুলোর রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের বিধান রয়েছে।
২০০৮ সালে নিবন্ধন নেওয়ার সময় দলগুলো ২০২০ সালের মধ্যে তা পূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পূরণ করতে পারেনি তারা।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রয়েছে ৪৪টি দল। প্রধান দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নারী প্রতিনিধিত্ব এখনও ৩০% পার হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৩% লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরপিও সংশোধনও করা হয়েছে।
[তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বরিশাল প্রতিনিধি সাইদ মেমন।]
পুরনো খবর
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৩৬.১%
নারী সদস্য: উপজেলায় ১০০৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
উপজেলা: চার ধাপের এক চতুর্থাংশ চেয়ারম্যান বিনা ভোটে পার
‘ভালো’ নির্বাচনের ধারায় ছেদ ঘটেছে: শামসুল হুদা
স্থানীয় নির্বাচনেও কেন ভোটের হারে ভাটা?