জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান।
তিনি জানান, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগ এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের হলের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করেন। ওই সময় অস্ত্র প্রদর্শন, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।
তিনি জানান, ওই ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আল বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ শিকদার মোহাম্মদ জুলকারনাইন, শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেদ রানা, জাহানারা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ মোরশেদা বেগম এবং সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহতাব-উজ-জাহিদ।
তদন্ত কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে; প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রক্টর।
বুধবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সামনের সড়কে দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেন ওই হলের ছাত্রলীগের আরেক পক্ষের নেতা-কর্মীরা।
মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাদের বাধা দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বটতলা এলাকায় মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের দিকে রড নিয়ে তেড়ে যান নেতা-কর্মীরা। সেখানে দুজন সাংবাদিক হামলার শিকার হন।